Soundarya Tattwa লেখক : অভয়কুমার গুহ পৃষ্ঠা : 178 কী সুন্দর, কেন সুন্দর-জানার আগ্রহেই রচিত হয়েছে ‘সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব’। মানুষ পঞ্চময় কোষের সমাহার। যার মধ্যে অন্যতম জ্ঞান ও আনন্দময় কোষ। সুন্দরের উপলব্ধি ছাড়া মানুষ পূর্ণতা পায় না। মনীষী প্লেটোই প্রথম আমাদের কাছে সৌন্দর্য জিজ্ঞাসা বা সুন্দরের ধারণা নিয়ে আসেন। ইন্দ্রিয় থেকে ইন্দ্রিয়াতীত বোধে পৌঁছে যাই সৌন্দর্যতত্ত্ব বিচারে। সৌন্দর্যবোধের সঙ্গে সত্য ও মঙ্গলের যোগ প্রথম বলেছিলেন ফরাসি দার্শনিক ভিক্টর কুজ্যাঁ। যাকে রবীন্দ্রনাথ উপনিষদের রসে সিক্ত করে সত্য-শিব-সুন্দর তত্ত্ব রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ও অভয়কুমার গুহ “সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব” নামে গ্রন্থ লিখলেও, দু’জনের পন্থা ও পদ্ধতি ভিন্ন। সুরেন্দ্রনাথ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নন্দনতত্ত্বের বিচার করেছেন। অভয়কুমার গুহ মুখ্যত ভারতীয় ভক্তিশাস্ত্রকে আশ্রয় করে তাঁর সৌন্দর্যভাবনা ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও প্রারম্ভিক পর্বে তিনি পাশ্চাত্য দর্শন, বিজ্ঞান ও নন্দনতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা দিয়েছেন। তাঁর “সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব” গ্রন্থে তিনি রসস্বরূপকে। সুন্দর এবং ঈশ্বরকে পরমসুন্দর রূপে দেখেছেন। শ্রীগুহ মনে করেন, “সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব অপ্রাকৃত তত্ত্ব; বাক্য, মন ও বুদ্ধি বিফল মনোরথ হইয়া তথা হইতে ফিরিয়া আসে।” আমাদের সৌভাগ্য এই, তিনি অন্তত সেই তত্ত্বকে হৃদয়-মনীষা-মন দ্বরা উপলব্ধি করেছেন এবং ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন। বাঙালির সৌন্দর্যদর্শন ভাবনা ও চর্চায় “সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব” এক স্মরণীয় সংযোজন। যা অপঠিত থাকা মানে নন্দনতত্ত্ব পরিক্রমার অসম্পূর্ণতা। অন্তর্দীপ্ত হওয়ার গ্রন্থ “সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব”। আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1.5 (h) |