সিনেঅলা (তৃতীয় খণ্ড)
গ্রন্থনা ও অনুবাদ : রুদ্র আরিফ
নির্বাকযুগ থেকে আধুনিককাল যাবৎ সিনেমার ইতিহাসে এমন কিছু তুখোড় জাদুকর, নমস্য খেলারামদের রাজত্ব চলে আসছে। এইসব খেলারামদের ঘিরেই এই গ্রন্থ সিরিজ – ‘সিনেঅলা’। এবার, তৃতীয় কিস্তিতে এমন দশ মহান আলোছায়াবাজকে নিয়ে হাজির সিনেওলা। কার্ল থিওডর ড্রায়ার, ফ্রিৎস লাং, সেভলদ পুদোভকিন, কেঞ্জি মিজোগুচি, রোবের্তো রোজেল্লিনি, অরসন ওয়েলস, ইউসেফ শাহিন, আন্দ্রে ভাইদা, সার্জো লিওনি, মিলোস ফরমান— যারা ফ্রেমে ফ্রেমে, নিজস্ব ছন্দে, স্বরে অগুনতি সোনা ফলিয়ে গেছেন, নবতরঙ্গের জোয়ার এনেছেন সিনেমা জগতে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ফিল্ম নিয়ে স্বপ্ন দেখা অজস্র তরুণ ফিল্মমেকারকে বেঁধেছে সিনেমার ডোরে।
দুর্ভিক্ষের স্মৃতি
লেখক : শৈলেন সরকার
কোথাও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস কোথাও ভয়ংকর ঝড়। কোথাও বা বন্যা কোথাও আবার খরা। আকাশে যুদ্ধবিমান, কলকাতায় জাপানি বোম। আর তার পরপরই মানুষের সামাজিক ও নৈতিক শৃঙ্খলাগুলি ভাঙতে শুরু করা। পুলিশ ঘরে ঢুকছে। জমানো ধান-চাল কেড়ে নিচ্ছে। টাকা থাকলেও খাবার নেই তো বাজারে। মা কোলের সন্তানকে খাবার দিতে না-পেরে নদীতে ছুড়ে ফেলছে, বাবা মেয়েকে বিক্রি করে দিচ্ছে। ঘরের মেয়ে-বউ দুটো ভাতের জন্য যে-কোনো পুরুষের হাত ধরে পালাচ্ছে।। না-খাওয়া শরীরে কলেরা-বসন্ত থাবা বসাচ্ছে, উজার হচ্ছে গ্রাম। দুই বাংলার একাশি জন নব্বই-এর কাছাকাছি বা তার বেশি বয়সের মানুষের নিজের চোখে দেখা তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের বিবরণের ভিত্তিতে এই বই। ত্রিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হওয়া সেই দুর্ভিক্ষের ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য। নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে দুই বাংলার ভুক্তভোগী ৮৪ জন মানুষের নিজেদের চোখে দেখা বিবরণ।