Jibanananda : Jibon Aar Sristi
সম্পাদনা : সুব্রত রুদ্র
পৃষ্ঠা : 912
জীবনানন্দ দাশ আসলে এক আত্মবীক্ষার নাম। তাঁকে পড়া যায় নানা ভাবে। কারও মতে, জীবনানন্দের কাছে প্রকৃতিই সব। যেভাবে কবি প্রকৃতির টুকরো টুকরো অনুষঙ্গের মাঝে গন্ধ, রূপ, রস আর চেহারা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাতে বাড়ির শ্যাওলা ধরা পাঁচিল, ধানের রোয়া, বাতাসের নাচন কিংবা হাওয়ার রাত হয়ে উঠেছে মুর্ত। আবার কারও কাছে জীবনানন্দ চূড়ান্ত নৈরাশ্যবাদী। প্রকৃতির মাঝে থেকেও তিনি আসলে বারবার পালাতে চেয়েছেন। আর পালাতে পারা কিংবা না পারার টানাপোড়েনে তাই নিজে জড়িয়ে পাঠককেও জড়িয়েছেন নৈরাশ্যের জাল বিস্তার করে। তাই কারও মতে আবার নিরন্তর জীবনানন্দ-পাঠ মানে অবসাদগ্রস্ততায় ডুবে যাওয়ার আরেক নাম। কেউ জীবনানন্দের রূপকল্পের ঘূর্ণাবর্তে আটকে গিয়েছেন বারবার। কারও কাছে। জীবনানন্দ কবির চাইতেও ঔপন্যাসিক হিসেবে বেশি প্রতিভাত। আর জীবনানন্দের চেতনা ? দর্শন ? বোধ ? চিন্তা ? কোনো বিশেষ শব্দবন্ধে আটকে রাখা যায় না তাকে। ‘জীবনানন্দ: জীবন আর সৃষ্টি’ আসলে এমন লেখার সংকলন, যেখানে জীবনানন্দের সম্ভাব্য নানা দিক তুলে ধরেছেন নানা দশকের বহু লেখক। কখনও জীবনানন্দের কাব্যচিন্তা, কখনও বিশেষ একটি কবিতা, কখনও আবার সমগ্র কাব্যগ্রন্থ আলোচিত হয়েছে। কোথাও গল্প, কোথাও উপন্যাসে আলো ফেলা হয়েছে। কখনও এসেছে রবীন্দ্রচিন্তা, কখনও মার্কসীয় ভাবনা। আর এসবের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে জীবনানন্দের ভাবনায় প্রেম, প্রকৃতি, মৃত্যু, হতাশা, স্বপ্ন, সমাজ ও মুক্তির আখ্যান। জীবনানন্দ যেমন চিরকালীন, তেমনই শতাধিক লেখার সংকলন ‘জীবনানন্দ: জীবন আর সৃষ্টি’ রয়ে যাবে। কারণ, মুক্তির নাম জীবনানন্দ। আত্মবীক্ষার নামও জীবনানন্দ।
আকার (cm) : 16 (l) X 24.5 (b) X 6 (h)