Nirbachito Kobita
লেখক : দীপক হালদার
পৃষ্ঠা : 144
হৃদয়লীন বেঁচে থাকাই কখনো- সখনো পঙ্ক্তিতে বাঁধা পড়ে। স্তবকের ঘরবসতে অনুভবের এসে বাসা বাঁধে। মগ্নজীবনের মধ্য থেকে এলোমেলো কিছু বাউন্ডুলেপনা হঠাৎ করেই চেনা ছক কেটে মনকে উধাও করে দেয়। তবুও তো 'এক একবার নিজের কাছে ফিরে আসতে হয় / অবসরের মতো হাঁটু মুড়ে বসতে হয় শরীরের কাছে / বলতে হয় এই নাও ধুলোমাটি হয় কাদা না- হয় প্রতিমা বানাও'—এভাবেই সন্ন্যাস ও প্রেমের খেলাঘরজুড়ে কিছু পায়ের ছাপ জমা হতে থাকে। আহ্বান কি সমান প্রত্যুত্তরে দান ফেরায় ? —হয়তো, হয়তো নয়। মন তাই বলে—“শুশ্রুষায় ভেঙেছি। বলয়, দেখি তুমিও সমান জেগে / রয়েছ তৃষাময় অন্তহীন একা / অক্লান্ত একই রেখায় তারপর।' এই 'তারপর’-এর টানেই পথ এগিয়ে চলে। ঈশ্বর, পৃথিবী ও ভালোবাসার কথামালায় শব্দ সাজান কবি। নিভৃতির নির্জনতায় আত্মপরিচয়ের আর-এক রং জেগে ওঠে। স্রোতের কাছে আত্ননিবেদন করে কবি আসলে নদীকেই চিনে নিতে চান। অনবদ্য ভঙ্গিমায় গেঁথে চলা অনুভবের এই হাজারদুয়ারিতে এসে পাঠক প্রায়শই পেয়ে যান তাদের হেমন্তের ঝরাপাতার বনের কিছু নুড়ি-পাথর অথবা সাম্প্ৰতিকেরই কিছু উদ্যাপনকে।
আকার (cm) : 14.4 (l) X 21.7 (b) X 1.5 (h)