Atmahatyar Adhikar Ebong Anyanya Sanad
লেখক : মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 408
অনুবাদক হিসেবে সুখ্যাতি মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যসব পরিচয়কে আড়াল করেছে। অনেকেরই জানা নেই তিনি একজন কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। কৃত্তিবাস কবিগোষ্ঠীর অন্যতম এই কবি যে অত্যন্ত বড়ো মাপের একজন সাহিত্যসমালোচকও-তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ এই গ্রন্থটি। বুদ্ধদেব বসুর ছাত্র ও সহকর্মী মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন দীর্ঘদিন। বিশ্বসাহিত্যের এই মনোযোগী পাঠক তা-ই যে কোনো বিশিষ্ট সাহিত্যধর্মকে আলোচনা করেন বিশ্বসাহিত্যের প্রধান রচনাগুলির মাঝখানে তাকে স্থাপন করে। ফলে সাহিত্যপাঠক প্রকৃত অর্থেই শিক্ষিত হয়ে ওঠেন। ‘আত্মহত্যার অধিকার’ আলোচনায় তাই রবীন্দ্রনাথের ‘তারকার আত্মহত্যা’, ‘চারঅধ্যায়’ জগদীশ গুপ্তের ‘অসাধু সিদ্ধার্থ’, ‘রতি ও বিরতি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’ জীবনানন্দের ‘উটের গ্রীবার মতো নিস্তব্ধতা, আত্মহত্যা সম্পর্কে তলস্তয়ের মন্তব্য, বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদে রিলকের অর্কিয়ুস সবই কেমন চমৎকারভাবে জায়গা করে নেয় এবং রচনাটাকে নিয়ে যায় এক সীমাহীন উচ্চতায়। বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন তাঁদের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর মতো সবচেয়ে বেশি বই পড়েছেন। মন্তব্যটিতে যে কোনো অতিশয়োক্তি নেই এই বইটি পড়লে তা বোঝা যাবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দীর্ঘদিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাহিত্য বিষয়ে নানা প্রবন্ধের এক সুনির্বাচিত সংকলন ‘আত্মহত্যার অধিকার এবং অন্যান্য সনদ’ যেখানে হিমেনেথের প্লাতেরো, জঁ জ্যেঁনে, ওলে শয়িঙ্কা, সুকুমার রায়, বুদ্ধদেব বসুর ছোটোদের লেখা, শিবরাম চক্রবর্তী, শার্ল বোদলেয়ার, ডমরু-চরিত, লিমেরিক, বিশ্বকবিতা উৎসব ইত্যাদি বিষয় সংকলনভুক্ত হয়ে বিশ্বসাহিত্যের অবয়বটি পাঠকের ভাবনায় স্পষ্ট করে তুলেছে। তুলনামুলক সাহিত্য যাঁর অধ্যাপনার বিষয় তাঁর পক্ষেই এমন অত্যাশ্চর্য একটি গ্রন্থ রচনা সম্ভব।
আকার (cm) : 15.6 (l) X 23.8 (b) X 2.5 (h)