Nuniya Brije Bhorbela লেখক : সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পৃষ্ঠা : 130 নুনিয়া ব্রিজে ভোরবেলা কোনো দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা নয়, অথচ এইরকম হতে পারত। যদি হত কেমন হত? একটি জীবন কতরকমভাবে সাজানো যেতে পারে! একটি চরিত্রে কতরকম ভাবে বাঁকবদল সম্ভব? একটি মানুষ ভোরবেলায় ব্রিজে দাঁড়িয়ে সূর্যের উদয় দেখে, বুনো হাঁসের ডাক শোনে, পাখিদের কিচিরমিচির, টিয়া ময়না ঘুঘু তিতিরের স্বর চেনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেল-কালি-চিমনির ধোঁয়া আর জেনারেল ম্যানেজারের ধমক চমক। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসা। স্টার আনন্দের বিজ্ঞাপন বিরতি। মশারির ভেতরে প্রেম। লাল ইমলির কম্বলের আড়ালে বহু ব্যবহৃত শরীরের হাতে নড়াচড়া এবং প্রেম ঈশ্বরীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা। এসবের আড়ালে যদি অন্য একটি জীবন পাপ আর নৈঃশব্দ্য, পুণ্য আর শীতের শিরশিরানি। এই উপন্যাসের নাম নুনিয়া ব্রিজে ভোরবেলা না দিয়ে রোটাংপাশে ভোরবেলা দিলেও ব্যাপারটা একই হত। বস্তুত এই লেখা একটি ভোরবেলার খোঁজ আর সমস্ত চরিত্রগুলো সেই ভোরের খোঁজে এক একটি পথ মাত্র। তা সে রাঁচির টাটিসিলবাই বা লোহারদাগা, গৌহাটির ব্রহ্মপুত্র নদ বা ইটানগরের সাজানো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা নর্মদা কখনও স্থির কখনও বা ভয়ংকর স্রোতধারা, এমনকি বাংলাদেশের উদ্বাস্তু নমশূদ্র সম্প্রদায়ের যেকোনো মানুষ বা বিলিতি সুলতানপুরের সদ্গোপ সম্প্রদায়ের একজন কৃষিজীবী। মূলত এই উপন্যাসে একাধারে জামালউদ্দিন রুমির সুফি সাধনার গান এবং বাংলার বাউল-ভাটিয়ালি-ফকিরি আর গম্ভীরার সুর যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়পুরে বয়ে চলে, কান পাতলে যার ছলাৎধবনি পাওয়া যায়। |