Tomar Apan Khelar Sathi লেখক : নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় পৃষ্ঠা : 144 কখনও শ্রীপর্ণা, কখনও মৌবনি। বিষ্ণুপ্রিয়া ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার মতন দু-খানি গৈরিক পথ যেন সংসার-তরুর দু-ধার দিয়ে বহে গিয়েছে। জীবনপাত্র উছলে ওঠা সম্পর্কের নানারকম রং, যতবড়ো ক্যানভাসেই তা ধরাতে চেষ্টা করুক স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সাদাসিধে জীবনযাপনে থাকা রূপম, সরলভাবে সবটা কিছুতেই আঁটে না। অনেক দিনের অনেক কথায় এ যে এক দীর্ঘ যাত্রাপথ ! নানান পত্রপত্রিকা, কবিতার বই আর গীতবিতানকে বিছানা-বালিশ বানিয়ে নিজের শর্তে একা বেঁচে থাকা শ্রীপর্ণা, সিনেমা-সিরিয়াল যাত্রা-থিয়েটারে চুটিয়ে কাজ করত। এখন ওর একলা থাকার বাসায় সঙ্গী কিছু কুকুর-বেড়াল। ডানাভাঙা পাখিকে শুশ্রূষা করার মতনই সে খুঁজে এনেছিল রূপমকে, শ্রীপর্ণার দৃষ্টিতে যে কিনা চেহারায় ছেলে ছেলে হলেও ভ্রষ্টযোগী সাধক-সত্তায় মনে মনে মেয়ে ! বিনোদন দুনিয়ার নানান মিথ্যেকে রূপম বুঝতে শেখে কবিতা-পাগল মেয়েটিকে দেখে। কিন্তু কই, কবি-সাহিত্যিকরা তেমন ভাবের পাগল প্রায় কখনোই হন না তো ! মৌবনিও গল্প কবিতা লিখতে চায়, যাহোক করে প্রশংসা পেতে চায়, ভালোবাসা পেতে চায় সুপুরুষ যুবকদের থেকে। রূপম লেখাজোখা বানিয়ে দেয় তার নামে। আদরে-ভালোবাসায় ভেসে যেতে যেতে, রূপম স্তব্ধ হয়ে দ্যাখে, মহাষ্টমীর মাঝরাতে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন যে কবি-কথাশিল্পী, তার কথা হঠাৎ উঠতেই পালটে যায় মৌবনির মুখের রং ! হ্যা, সেই অমর কথাকারের প্রয়ান শোভাযাত্রার বিপ্রতীপে, ফ্ল্যাশব্যাকে নিজেদের প্রথম বয়সের কথাও রূপম আঁকতে চায়। পৃথিবী পেরিয়ে চলে যাওয়া আরও দু-তিনটি সঙ্গীসাথির কথা আসে, এই বিচিত্রগামী বর্ণাঢ্য উপন্যাসে। |