Sei Pratham Purush লেখক : নীলকণ্ঠ ঘোষাল পৃষ্ঠা : 250 এই উপন্যাসে বর্তমান কালের চরিত্র ও ঘটনার প্রেক্ষিতে তুলনামূলকভাবে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘আধুনিক মানুষ’ বিদ্যাসাগরের জীবনের নানা ঘটনা এবং কালজয়ী চিন্তনগুলি আনা হয়েছে। শোভনা এক শক্তিময়ী নারী। তাঁর উত্তরাধিকারে পাওয়া ধন-সম্পদ দিয়ে গড়ে তুলেছেন সমাজসেবা ও স্বনির্ভরতার সংগঠক একটি প্রতিষ্ঠান-‘সৃজনী’। এখন তাঁর অবর্তমানে সেই সংগঠন পরিচালনা করেন তার ভাইপো প্রধান শিক্ষক মণিভূষণ, তাঁকে সাহায্য করে ছাত্র প্রীতম, সহ-শিক্ষক অমলা এবং অন্যান্য অনেক মানুষ। ছোটো ভাই প্রণবের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গোষ্ঠীর চক্রান্তে মণিভূষণ তাঁর প্রধান শিক্ষকের পদটি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তিনি বাইরে থেকে শিক্ষা-সংস্কৃতির জগতে এই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকেন। তাঁর সহযোগী হল পুত্রবধূ সুপর্ণা, প্রীতম, অমলা ও অন্যান্য শিক্ষকরা। অমলাও তার নারীত্বের মর্যাদা রক্ষার জন্য শিক্ষকের পদ ত্যাগ করেছে। মণিভূষণ তার বিদ্যালয়ে যে সকল আদর্শ শিক্ষাবিধি ও পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন প্রণব-গোষ্ঠী তা নষ্ট করার কাজ করতে থাকে। অন্যদিকে প্রণব তার নিজের ভাইপো-ভাইঝি, দাদা মন্মথর ছেলেমেয়ে, সুবিদ ও দিবাসহ কয়েকজন প্রাণবন্ত যুবক যুবতিকে কুপথে যেতে প্ররোচিত করে। নানা চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে দিয়ে প্রণব ভাইপো সুবিদের প্রেমিকা গতিশীলাকে ধর্ষণ করে। অসমসাহসী গতিশীলার অসাধারণ এক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে এই উপন্যাস শেষ হয়েছে। মাইকেল মধুসূদনের ভাষায় যিনি ছিলেন- ‘the first man amongst us’ যেন সেই ঈশ্বরচন্দ্রেরই প্রতীকী এক সাম্প্রতিক পরীক্ষামূলক কাহিনি এই উপন্যাস-সেই প্রথম পুরুষ। |