Kagaj Matir Bayoscope লেখক : আবুল বাশার পৃষ্ঠা : 128 আমাদের বাঁচার ঘরবসত জুড়ে ক্লান্তির ন্যাতা টাঙানো। স্বপ্নের শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে বারে বারে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। দারিদ্র্যের ছিদ্র দিয়ে পাচার হয়ে গেছে পুণ্যদাসের গোটা কৈশোর। তার জীবনে অন্ধকার থেকে কোনোদিন কোনো আলো উৎসারিত হয়নি। এই সমাজের বুকে একমুখ বিপন্ন কৈশোর নিয়ে পুণ্য ঘুরে বেড়ায়। পাউরুটি দেখিয়ে কুকুর নাচাতে নাচাতে ভুখা পেটের ফকিরদাস ঈশ্বর হয়ে ওঠে, নিয়তি হওয়ার স্বাদ পায়। আর এসবের মধ্যেই কারা যেন বাঁচার মানেটা খুঁজতে খুঁজতে মৃত্যুর বড়ো কাছে পৌছে যায়। হ্যান্ডমেট পেপারে জীবনের নকশা ফুটে ওঠে ক্রমে। আমাদের প্রতিদিনের প্রাপ্য অপমান আর হিংস্রতার দলিলে গোধরা থেকে গুজরাট মিশে যায়। ধর্ষণ সম্বন্ধে চলতে থাকা পুরোনো আইনি সংজ্ঞা বাতিল করে দিয়ে ভারতবর্ষ আধুনিকমনস্ক হয়ে ওঠে। তবু কিশোর পুণ্য পাইকেড়ের কোঠিতে যৌন যন্ত্রণা সইতে সইতে না রাম, না নাথুরাম কাউকেই শেষ অবধি আঁকড়ে ধরতে পারে না। মৃত্যুর দানে পিতৃঋণ শোধ করে সে। ধর্ষিতা মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে কারা যেন ঠিক করে নেয় যে এই দেশটাতে তারা আর জন্মাবে না। সাম্প্ৰতিকের এইসব বিপন্নতা নিয়েই সরগরম ও ভীষণই ‘ওয়ান্টেড’ হয়ে ওঠে উপন্যাসের নায়ক এবং সেই সঙ্গে আবুল বাশারের কাগজ মাটির এই বায়োস্কোপ। আকার (cm) : 14.5 (l) X 21.7 (b) X 1.6 (h) |