Samayer Saanko
লেখক : শ্রীপর্ণা দে
পৃষ্ঠা : 64
একটা অন্ধকার দিগন্ত ছুঁয়ে ক্রমে পথ হয়ে পায়ে পায়ে এসে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, মনের কার্নিশ ধরে দাঁড়ায়। স্বপ্নগুলো কোন এক মরা জমির আলে মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রতীক্ষা দীর্ঘ হতে হতে অসহ্য হয়ে, তারপর উদাসী হয়ে যায়। সিগারেটের মতন হৃদয়ও পুড়তে থাকে নিশ্চুপে। উৎসব এসে, ফিরে চলে যায়। মনকেমনের ছাইদানিতে ধূসর বিষাদে জমতে থাকে। দম চাপা বিকেলে বাসের কালো ধোঁয়ার মতো কিছু অশ্রু বাষ্প হয়ে যায়। কবি লেখেন— ‘স্বপ্ন হাঁটে মুখ ফিরিয়ে আমার বিপরীতে / ধুকে মরে উদাসীন জীবন অসহ্য শ্বাসকষ্টে।’ কোনো এক সাঁকো বিপন্নতা থেকে বিষণ্ণতার বুক ছুঁয়ে পাতা থাকে। পরস্পরের বাড়ানো হাতের মধ্যে দূরত্ব চুইয়ে পড়ে। কেলাসিত সেই সময়ের গায়ে কেউ লেখে – ‘বৈশাখের বিকালে কালবৈশাখীর মতো / তুমি এসে দাঁড়িয়েছিলে সামনে / চেয়েছিলাম নিবিড়ভাবে মিশতে তোমার সঙ্গে / কিন্তু তাড়া করেছিল ভয়, মৃত্যুভয় / মৃত্যুর জটিল বিভীষিকা। সময়ের ষড়যন্ত্রে সবই ফুরিয়ে যায়। ফোরানো কথার প্রান্তর ছুঁয়ে থাকা কিছু নৈঃশব্দ্যকে অক্ষরের অবয়বে ধরা হল এখানে। কিন্তু অনুভব বাসা বাঁধল এই দুই মলাটের ঠিকানায়।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1 (h)