Rabindra Natyasangeet
লেখক : করুণাময় গোস্বামী
পৃষ্ঠা : 296
প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত যে সব গীতিনাট্য, কাব্যনাট্য ও গদ্যনাট্য রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন তাদের সব গান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই গ্রন্থে। আলোচক দেখাতে চেয়েছেন গানের প্রয়োগ নাটকের বক্তব্যকে কতটা তীব্র করেছে। দর্শকের মন ভোলানোর জন্য গান ব্যবহার করেননি রবীন্দ্রনাথ। নাটকের বক্তব্যকে তীব্র করে তুলতেই গান ব্যবহার করেছেন তিনি। একুশটি অধ্যায়ে বিভক্ত এই গ্রন্থে শুধু নাটকে গানের প্রয়োগ নিয়েই নয়, নাট্যকলা ও নাট্যদর্শন নিয়েও বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সংগীতমানস ও নাট্যমানস অনুধাবনে এই গ্রন্থের মূল্য অপরিসীম। ‘হাওয়ার নেশায় উঠল মেতে / দিগবধূরা ধানের খেতে / রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে মাটির আঁচলে / মরি হায় হায়’- মুক্তির একটা উদাত্ত আহ্বান নন্দিনী যেন গানের মধ্য দিয়ে রাজার শ্রুতিগোচর করতে চাইছে। রাজা স্বর্ণ সংগ্রহে ব্যস্ত, জালঘেরা প্রাসাদ ছেড়ে যাবেন না ‘মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল / ঘরেতে আজ কে রবে গো। খোলো দুয়ার খোলো।’ ঠিকই বলেছেন আলোচক ‘রবীন্দ্রনাথ ভাবাদর্শের যে স্তরে বক্তব্যকে তুলে নিতে চান, তাতে গান হলে চলে না।
আকার (cm) : 14 (l) X 21.5 (b) X 2.3 (h)