Mrityur Porer Ongsho : Bingsha Shatabdir Antorjatik Chalachitra O Tar Porichalokera
লেখক : ব্রাত্য বসু
পৃষ্ঠা : 304
শাসন আসে, শাসন যায়। কিন্তু সংগ্রাম বদলায় না। না মানুষের, না শিল্পীর। সেই সংগ্রামের কাহিনি হয়ে ওঠে সিনেমা। আর ইতিহাসের আয়নামহল। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম দশ পরিচালক কারা, এ নিয়ে প্রশ্ন করলে অন্তত একশো পরিচালকের নাম উঠে আসবে নানা মহল থেকে। কারণ শ্রেষ্ঠত্বের সংজ্ঞা নিরূপণ করা যায় সহজ নয়। ‘মৃত্যুর পরের অংশ’ শীর্ষকের মাধ্যমে ঠিক কী বুঝিয়েছেন লেখক ব্রাত্য বসু? তাঁর কথায়, ‘এই নশ্বর জীবনের যা সৃষ্টি বা কৃতি, তা যদি সত্যই যথার্থ হয়, তবে তা চিতাকাঠ বা কবরে নিঃশেষিত হতে পারে না। তার অনুরণন রয়ে যায় এবং তা অপর কোনো চৈতন্যজ্যোতির মধ্যে সঙ্গোপনে প্রবেশ করে। মৃত্যুর পরের অংশ তাই সম্প্রসারিত হয় নতুন কোনো জীবনস্পন্দে, নতুন কোনো তাৎপর্যে। সেই অংশটি মৃত্যুর পরবর্তী দশার মতোই অজ্ঞাত অথচ জীবনের মতোই সম্ভাবনাময়। মৃত্যুর মতোই অবসিত অথচ জীবনের মতোই উদ্যাপিত। মৃত্যুর মতো অনিবার্য অথচ জীবনের মতোই অমরাবতী উন্মুখ।’ বিংশ শতাব্দীর চলচ্চিত্রের যে দশজন শিল্পী এবং পরিচালককের কথা এই গ্রন্থে উঠে এসেছে, তাঁদের প্রত্যেকেই মৃত্যুর পরবর্তী অংশকে নিজেদের জীবনে আত্মস্থ করতে চেয়েছেন। তাঁর মধ্যে কিছু পরিচালক জীবনের সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন, কিছু পরিচালক আজও জীবনের পরিসরে আত্তীকরণ করতে চাইছেন ‘মৃত্যুর পরের অংশ’কে। দুই মলাটের মাঝে ছয় ইউরোপিয়, তিন এশিয় এবং এক আমেরিকান সিনে-পরিচালক সম্পর্কে লেখা পড়লেই স্পষ্ট হয় তাঁদের কাজ, দেশের রাজনীতি ও সমকালীন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই, শিল্পীসত্তার তাড়না, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ইতিহাস।
আকার (cm) : 18 (l) X 24 (b) X 2 (h)