Monjorimohon
লেখক : শ্বেতা চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা : ৮১
তিনি মঞ্জরীমোহন । সাদা মঞ্জরীর বুকের গোধূমবর্ণ দুটি দানায় তিনি কোনোদিন দাঁতের দাগ দিতে আসবেন না ! চন্দ্রালোকিত রাতে গোপীদের নিয়ে বিহার করা কৃষ্ণের জলজ ধাতুগন্ধে অস্থির যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে পড়েও গোপীদের শরীরের আগুন এতটুকু শীতল হত না! আধুনিক মঞ্জরী পুরাণের পদ্মপাতার পোশাক ছেড়ে ফিনফিনে বল্কল পরে মোহনের সামনে এসে বসেন। তিনি দেখেন, ভাবেন, তাড়ান! অবসরে মনে পড়ে। মনে পড়ে একদিন কে বার বার প্রণাম করতে চেয়েছিল? কী উদ্দেশ্য ছিল মহিলার ? চোখের আড়ালে ছিল ঘিয়ের প্রদীপ। ঘৃতয় যেন ছিল যুগাতিক্রমী ধাতুপ্রলয় । পুরুষ না চাইলে কি প্রলয় হয় ? হয় হয়তো ! প্রতিটি রাত তারপর থেকে মঞ্জরী জাগে। গায়ে ঘৃতের মাখামাখি, শরীরে বিজনস্বাদ, স্বেদ। তিনি মঞ্জরীমোহন। অজানিতে তিনি দিয়েছেন তার আপন মনখানি, বিস্মরণের দরজায় দাঁড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর শরীরাভা, তাঁর অঙ্গাভা! সংগমে সংগমে নেই। ভাবনায় যত সংগম। মঞ্জরীমোহন রইলেন। রইল মঞ্জরীও। সে রাধা নয়। তবু, রাধা কি নয়? চুম্বনে আর স্বমেহনে মঞ্জরীও শ্রীরাধা। বীর্য ভাসান রাতে আকুল বৈভবে সে আত্মহারা, অঘোর রমণী, বিপ্রলব্ধা, শায়িতা, সুতোহীন চৈত্রসন্ধ্যার প্লাবনে প্লাবনে দিশাহারা।
আকার: 20.5 (h)× 15.5 (w)× 1 (d)