Nagno, Anandaghar
লেখক: অমৃতা ভট্টাচার্য
পৃষ্ঠা: ৭২
শাস্তি উড়াল... উড়াল শূন্য... যত ডাক
এঁটো-কাঁটাময়—
ও খাক, বা না-ই খাক, খিদের ভিতর বেড়ে দাও
আগন্তুক, থোকা থোকা নিষিদ্ধ ফল!
সব কথা বলার নয়। সব বলা শ্রুত নয়। তবু রয়ে যায় কিছু ধ্বনি। কিছু কল্প। সব ধ্বনি, সব শব্দ বন্দর ছাড়ে। এ নোঙরের উদযাপন কোথায়? কোথায়ই বা জলরাশি-মাঝে সত্যি নামের সে দ্বীপ। সত্যির খোঁজে এ এক অপারগ নেশা। এ খোঁজ এক দরজার... বেরিয়ে যাওয়ার, ফিরে ফিরে আসার। ফেরার কথা ছিল কার? আদৌ কি ফেরা যায়? ধরা যায়? ধরা দেয়? সত্যি? কোন সত্যি? সত্যি নিরাকারময়। আয়নাভাঙা ক্ষণ বিলি কাটে জলের... সূক্ষ্ম জালিকা একে অন্যের রাস্তায় মিশে ভেসে ওঠে নতুন প্রতিবিম্ব। এক এক করে বন্দরে পৌঁছনোর কথা ছিল যাদের, সেই কথাদের যাত্রা কত দূর এগোয়? কথারা পাড় ভাঙে। মিশে যায়। মিলিয়ে যায় অযুতে অযুতে। নাবিক ছুঁয়ে দেয় সত্যি-মিথ্যে একাকার করা সেই ‘নগ্ন’ হাওয়া। এ নেশা একার, একাকার, নগ্ন! এই নগ্নতাও আলোময়। নিয়তাকার নেশাতুর অনুপল, আলো-আঁধারির ‘সত্যি-মিথ্যে’ যাত্রাশেষে এনে দেয় ঘরের খোঁজ। কিংবা পথের। কিংবা পথ নামক ঘরের। খোলা থাকে ‘দরজা ওখানে আনন্দঘর’…