Girish Pratibha
লেখক : হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত / সম্পাদনা : শম্পা ভট্টাচার্য
পৃষ্ঠা : 480
বাঙালির নাট্যচর্চায় যে সব বইয়ের অমলিন আদর, ‘গিরিশ প্রতিভা’ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই বইয়ের লেখক স্বদেশব্রতী হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত সক্রিয় ভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের কল্যাণ ও মঙ্গলসাধনা ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। গিরিশচন্দ্র রচিত নাটক তাঁর বিমুগ্ধ হওয়ার অন্তরালে ছিল নাট্যকারের স্বদেশপ্রীত, দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যবোধ। ‘সিরাজদ্দৌলা’ কিংবা ‘মীরকাসিম’-এর মতো দেশপ্রেমমূলক নাটক ‘গিরিশ প্রতিভা’ রচনার অন্যতম কারণ। গিরিশচন্দ্রের ব্যক্তিজীবন, ব্যক্তিত্ব, অধ্যাত্ম আকুতি, নাটক রচনা ও অভিনয়চর্চা প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবোধের প্রতিফলন, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ছাড়াও গিরিশচন্দ্রের আত্মীয় পরিজনদের কথা, সংবাদপত্র ও পত্রপত্রিকায় নাট্য আলোচনা, নাট্য প্রশিক্ষণ- সবই আলোচ্য বইয়ের অন্তর্গত। আজ ভারতবর্ষীয় নাট্যচর্চায় গিরিশচন্দ্র প্রায় মিথে পরিণত। এই বইটি প্রথম প্রকাশের সময়েই গিরিশচন্দ্র মহাকবি, বঙ্গীয় নাট্যসাহিত্যের গুরু ও নাট্যসাহিত্যের জনক বলে স্বীকৃত। তখনও বেঁচে ছিলেন নাট্যকারের বন্ধু ও স্বজন। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লেখক। হেমেন্দ্রনাথ গিরিশচন্দ্রকে দেখেননি। তবে গিরিশ-সমকালীন মানুষের ভাবনাচিন্তা এই বইয়ে প্রতিফলিত। জেলে থাকাকালীন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এই বইয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশের সব ব্যয়ভার বহন করতে চেয়েছিলেন। প্রতিভা সকলের থাকে না। যাঁর থাকে, তিনি ব্যতিক্রমী। লেখক হেমেন্দ্রনাথ গিরিশচন্দ্রের সেই প্রতিভাকে উপলব্ধি করেছিলেন। আর এখানেই এই বইয়ের অভিনবত্ব।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 3 (h)