Hey Pahar, Tumi Dile
লেখক : সাত্যকি হালদার
পৃষ্ঠা : ১৩৬
যে মা পাহাড়ের হাসপাতালে মেয়েটির জন্ম দিয়েছিল পরে সেই মায়ের আর হদিস পাওয়া যায়নি। একটু সুস্থ হতেই কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল সেই উদাসীন নারী। যে শৈলশহর মিশনারি স্কুলগুলোয় অনাথ শিশুদের যত্নে বড়ো করে, তিরিশ বছর আগে সেই শহর এক স্কুল-হস্টেল একটু একটু করে গড়ে দিয়েছিল সেই মেয়ে-কে, আজকের মেঘমা-কে। মেঘমার এখন স্থিত জীবন, বছর পাঁচেকের কন্যা এবং বর নিয়ে কলকাতায় গোছানো সংসার। আর এই সংসারেই একদিন তার মনে জেগে ওঠে জন্মের সূত্র ধরে মাকে খোঁজার ইচ্ছে। খোঁজার টানেই সপরিবারে সে পাহাড়ে ফেরে পুনর্বার। আশ্চর্য এক অতীত যাত্ৰা শুরু হয়। ছেঁড়া নাড়ি আবিষ্কারের চেষ্টা। যদিও সেই আবিষ্কারের শেষে মেঘমা যা পায় তা রূপকথা, আবার বিষাদ-গাথাও। চরিত্রের নুড়ি-পাথরে গড়ে তোলা হলেও এই উপন্যাসের মূল চরিত্র অবশ্যই কালিম্পং। সেই শহরের ভেতর অদৃশ্য ছায়াপথ, সেখানে গলির আড্ডা, ম্যান্ডোলিনের সুর, চার্চের ঘণ্টার শব্দ আর লেপচাদের লুপ্ত পৃথিবীর কথা। ‘হে পাহাড়, তুমি দিলে' এক দিকে যেমন উপন্যাস, অন্য দিকে তেমনি পাহাড়ের জনপদে অলৌকিক ও অচেনা পরিভ্রমণ ।
আকার : 22 (h) x 14.2 (W) x 1.7 (d)