Surasamrat Manna De
সংকলন ও সম্পাদনা : মানস চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা : 328
সেই ১৯৪২ সালে কলকাতার মায়া কাটিয়ে কাকার হাত ধরে প্রবোধচন্দ্র দে রওনা হয়েছিলেন মুম্বইয়ের দিকে। মনে শুধু একটাই স্বপ্ন কাকার মতোই গায়ক হতে হবে। সে এক সময় ছিল। যখন কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের টানে যুবক-যুবতিরা পাড়ি জমাতেন আরব সাগরের পাড়ে। দেশ তখনও পরাধীন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের করাল ছায়ায় আচ্ছন্ন সেই দুনিয়া। ভারতেও তার প্রভাব পড়েছিল ভালো মতোই। তবু সেসব দিকে না তাকিয়ে শুধু গান নিয়ে বাঁচবার জন্য। প্রবোধচন্দ্রের মতো অনেকেই গিয়েছিলেন মুম্বই। তাঁদের মধ্যে অনেকেই চূড়ান্ত সফল কিন্তু শেষ জীবনে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছিল কলকাতায়। প্রবোধচন্দ্র দে ততদিনে হয়ে গেছেন মান্না দে। তিনি আর ফেরেননি তাঁর জন্ম শহরে। ষাট বছর মুম্বইয়ে থাকার পর জীবনের শেষ ১১ বছর তিনি কাটালেন বেঙ্গালুরুতে। শেষ নিশ্বাস ত্যাগও সেই শহরেই। ১৯৪২ থেকে ২০১৩ একাত্তর বছরের মান্না দে-র সংগীত জীবনের এই জার্নিটাকেই ধরবার চেষ্টা করা হয়েছে এই সংকলনে। তিনি বারবার বলতেন ‘আমি হলাম ইটারনাল স্ট্যাগলার’ সারাজীবন ধরে যিনি সংগ্রাম করে গেছেন অথচ পেয়েছেন সংগীতপিপাসু কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা সেই মানুষটাকে তো বটেই তাঁর সংগীতজীবনকে বিচ্ছিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবার চেষ্টা করা হয়েছে এই সংকলনে। এখানে মান্না দে-র সমসাময়িক এবং পরবর্তী প্রজন্মের গায়ক-গায়িকা, গীতিকার, সুরকার, পরিচালক, অভিনেতা, সংগীত সমালোচক, কবি, খেলোয়াড় এবং কাছের মানুষদের চোখে তিনি কেমন ছিলেন তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে। এত ধরনের মানুষ এত রকমভাবে তাকে দেখেছেন সে সব দেখা মিলিয়ে এ যেন মান্না দে-কে নিয়ে এক মহাভারতই বলা যায়। সঙ্গে প্রচুর দুষ্প্রাপ্য রঙিন এবং সাদা কালো ছবি মহাগ্রন্থটির গুরুত্ব এবং মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মান্না চর্চায় আকরগ্রন্থ হিসেবেই এই সংকলন নিজ নিজ গুণেই তুলনাহীন।
আকার (cm) : 16.5 (l) X 24 (b) X 2.5 (h)