Mrityuhin Maryada
লেখক : দিব্যেন্দু সাহা
পৃষ্ঠা : 64
বাঁচার খেলাঘর মৃত্যুর বেড়া দিয়ে ঘেরা। সে ঘরে যে বসত করে, তার গুলিসুতোর বাক্সে অনেক রং। শৈশবের শারদীয়া আর যৌবনের বসন্তোৎসবের শেষে নামে জীর্ণ শীতের বেলা। তবু যেদিন রাত্রির আলোছায়া বুননে বুননে জীবনের নকশিকাঁথা আঁকল, তা কখনও ‘ছিল আর নেই মাত্র এই’– ‘তে এসে ফুরিয়ে যেতে পারে না। কিছুতেই না। তবু তো ধূসর শরীর জানে— ‘শরীরে যতক্ষণ আগুন থাকে, ততক্ষণ / সে শরীর পোড়ায় অন্য শরীর / আগুন যখন নিভে যায় আকাশ-বাতাস ভরে যায় কালো ধোঁয়ায় / উড়তে থাকে ছাই— শুধু ছাই। একমুঠো ছাই।’ তবু কিছু চাওয়া তখনও আটকে থাকে শূন্য আঙুলের কোণে। তখনও কিছু রোমন্থন, তখনও তবু অর্থ খোঁজা। কতবার আত্মসমর্পণ সারা হল কামনার কাছে, কতবার ককিয়ে ওঠা নিঃস্বতার প্রহারে—তারপরই তো আত্মীয়তা জমল জীবনের সঙ্গে। হল পাপপুণ্যের সঙ্গে ঘরবসত। আর বসত শেষের সেই পদাবলি লিখতে গিয়ে কবি লিখলেন- ‘ভালো করার নামে নষ্ট করে দিলে প্রভু/ সব নষ্ট করে দিলে/ নষ্ট করে দিলে সন্ন্যাস-প্রাণ / বিশুদ্ধ বীর্যে আরতি নির্বাণ।’
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1 (h)