Dusar Prithibi
লেখক : বিজয়া মজুমদার
পৃষ্ঠা : 80
‘ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না বঁধু, আমি অবলা।/ ঘোমটার ভিতর খেমটা নাচি, যায় কি তা ‘বলা’?” –স্পষ্ট ভাষায় বাঁচার কথা বলেন তিনি। মুখোশ খোলা এক মন নিয়ে জীবনের চোখে চোখ রেখে দাঁড়ান। রহস্যে মোড়া আঁধারে, তীব্র ব্যঙ্গ নিয়ে কিছু চিৎকার ছুড়ে দেন তিনি। সংসারের নারীর অস্তিত্ব, যা তন্ত্র-পুরাণ সিদ্ধ, সেই উপস্থিতিকে স্মরণ করে লেখেন—‘সত্যধর্ম, জীবধর্ম হৃদয়ে ধরিবে।/ নারীর আশ্রয়ে সদা, নিজেরে চিনিবে।’ আবার কখনও বলেন— ‘রমণী লইয়া রমণ করো, শুদ্ধমন লয়ে।/ ‘র’- এ তে রাধা আছেন রাধা, সিদ্ধজনে কহে’। যাপনের জলছবিতে তবুও বিবর্ণ সময় নামে। প্রভাতের প্রেম, মধ্যাহ্নে রাঙা হয়ে, ধূসর হয় গোধূলিতে এসে। কবি লেখেন- ‘যৌবনের প্রেম হয়, বাঁধ-ভাঙা বন্যার মতো,/ দুঃসহ দুর্বার দুর্বিনীত, ঝরনার সংগীত, সংগীত হয়ে বাজে না,/ কৈশোরের প্রেমের মতো। অনবদ্য কিছু অনুভব, অসামান্য দৃষ্টিকোণের সান্নিধ্যে এখানে কবিতা হয়ে, গদ্য হয়ে ফিরে আসে। কবি বলে যায় অভিজ্ঞতার দামে কেনা জীবনের কিছু চিরসত্যের কথা। পঙক্তি থেকে পঙক্তিতে যেতে যেতে আমরাও অনুভব করি— ঘুরছে, ঘুরছে, ঘুরছে । ঘুরছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।/ ...পুরুষ হয় আলেয়া।/ দেখা যায়, ছোঁয়া যায় না। কাছে এসে ধরা দেয় না।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.2 (h)