Tarar Ektara
লেখক : সপ্তর্ষি
পৃষ্ঠা : 64
‘সারারাত ধরে ভালোবাসতে শিখেছি’...আচ্ছা, ভালোবাসাও বুঝি শিখতে হয়? অন্ধকারও হতে পারে বুঝি এমন ইতিবাচক? — এসবেরই উত্তর জানে কবি। জানে কীভাবে পদ্মপাতায় সূর্যমাখা শৈশব নামে, কেমন করে কচিপাতা আর মুকুলেরা পথের গন্ধ হয়ে ওঠে। কেমনভাবে পয়লা মে-র ভোরে রবিঠাকুরও পথে বেরিয়ে পড়েন ‘ওরা কাজ করে’-র উদাত্ত কণ্ঠের রেশ ধরে। প্রতিদিন তবু একাকিত্বের পলি জমে, পাড় ভাঙে কোথাও নিঃশব্দে, রক্ত ঝরে বুঝি আরও বেশি অভিযোগে অভিযোগে মিশে। তবুও পিপাসার্ত পৃথিবীতে ইচ্ছেরা জন্ম নেয়, নিতেই থাকে। কেমন সেই ইচ্ছেগুলি? সপ্তর্ষি লেখেন- ‘তোমার হ্যালো-হ্যালো করা অন্বেষণ শুনতে ইচ্ছে করছে / তোমার অন্বেষণ শেষে বড়ো কাঁদতে ইচ্ছে করছে... জীবনের নিঃস্বতার আধারে / ডুকরে কাঁদতে ইচ্ছে করছে’। ইচ্ছের নামে বুঝি আসলে কিছু ব্যর্থতাই জমল বাঁচার ভাঁড়ারে। থাকল অনেক না পারাও। তাই তো কবির কথার সঙ্গে আমরাও কখন যেন নিজেদেরই অজান্তে কবির সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলতে শুরু করলাম— ‘ব্যাপ্ত পথ হারাইনি, আমি যে সীমান্ত পেরুতে পারিনি / তোমার গেট আর মাঠের সীমান্ত আজও পেরুতে পারিনি / তোমার নিষেধের ফাঁকে কোনো অবসন্নতা আসেনি / নষ্ট জীবনের স্বাদ নিতে গিয়েও পারিনি । আমি ভ্রষ্ট হতে পারিনি।’
আকার (cm) : 14.3 (l) X 22 (b) X 1.1 (h)