Chalachchitre Sangeeter Prayog
সম্পাদনা : উৎপল সরকার
পৃষ্ঠা : 128
চলচ্চিত্রে সংগীতের ব্যবহার নিয়ে অনেক মুগ্ধতার কথা যেমন আমরা শুনে আসছি, ঠিক তেমনি সংগীতের ব্যর্থ-প্রয়োগ নিয়েও রয়েছে অনেক কথা। চলচ্চিত্রে কখন অনিবার্য হয়ে উঠবে সংগীত অথবা আবহসংগীতের, তার হদিস আসলে দিতে পারেন চলচ্চিত্রটির মূল পরিচালক। অথবা বলা যেতে পারে পরিচালকের মনের গহিন প্রদেশের ভাষা প্রকাশের জন্যই কখনও অনিবার্য হয়ে ওঠে সুর। দৃশ্য, রং, সংলাপ অথবা শরীরী ভাষার সার্থক প্রয়োগের পরও কখনো- কখনো অধরা থেকে যায়। মনোলোকের অধরা কিছু বোধ। এই বোধকেই ধরতে চাওয়া হয় সংগীতের মাধ্যমে। একটি কথা অবশ্য এখানে একটু স্পষ্ট করে বলে নেওয়া দরকার। চলচ্চিত্রে সংগীত অথবা আবহসংগীত কেমন হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে পরিচালকের উদ্দেশ্যের ওপরে। জনপ্রিয় হয়ে উঠবার তাগিদ যেমন থাকতে পারে, তেমনি থাকতে পারে শিল্পের তাগিদ। জনপ্রিয় হয়ে ওঠার তাগিদ থেকে যখন সংগীতের আয়োজন ঘটে, সে আয়োজনও যে শিল্প-বিরুদ্ধ হয়ে উঠবে, এমন কোনো কথা নেই। তর্ক-বিতর্ক অনেক। তবে অস্বীকার করা যাবে না, একটি সার্থক চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আবহ ও সংগীতের ভূমিকা অবশ্যই অনেকখানি। চলচ্চিত্রে সংগীতের ব্যবহার নিয়ে এই সংকলন গ্রন্থটিতে তাদের মহামূল্যবান অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিখ্যাতজনেরা। সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার, ঋত্বিক ঘটক, শান্তিদেব ঘোষ সহ অনেক বিশিষ্টজনের চলচ্চিত্রে সংগীতভাবনা নিয়ে লেখা গ্রন্থটি অবশ্যই চলচ্চিত্র এবং সংগীতরসিক পাঠকের কাছে সংগ্রহযোগ্য হয়ে উঠবে।
আকার (cm) : 14 (l) X 21.5 (b) X 1.5 (h)