Kichhu Katha Kichhu Baytha
লেখক : দেবাশিষ চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা : 64
পঁচিশ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক কবিতা লেখার প্রয়াস চালিয়ে গেছেন রোগী ও রোগ নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফাঁকে ফাঁকে। ‘কিছু কথা কিছু ব্যথা’ তাঁর প্রথম বই। কবিতা তাঁকে উদাস করে, মন চায় একটা দিন অন্তত ওষুধ-চিকিৎসার জগৎ থেকে অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে, লিখতে ইচ্ছে হয়, ‘আজ না হয় ফাঁকি দিলাম, / তোমার চোখে আজ হারিয়ে যাক ব্যথা;/ থাকুক হাসি, থাকুক না হয় গান,/ নাই বা থাকল কোনো কাজের কথা।’ ব্যস্ত জীবন বিশ্রাম চায়, বিশ্রাম পায় না, ‘কুণ্ডু স্পেশাল’ কবিতা সেই মুক্তির সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে ‘কু-ঝিকঝিক এবার তবে / কাশ্মীরে নয় শিলঙেও নয়/ নতুন কোনো পাহাড় খুঁজব/ যেথা গর্জন গলে ভালোবাসা বয়।’ কবিতাই হয়ে ওঠে ছুটি-না পাওয়া কর্মর্ভরপীড়িত জীবনে প্রাণের আরাম, মানসিক শুশ্রুষা। চিকিৎসক-কবি কবিতা রচনার মুহূর্তেও ভুলতে পারেন না তাঁর চিকিৎসক সত্তাকে, এবার তাই কবিতার নাম হয় ‘এপিলেপ্সি একটি গাথা।’ চিকিৎসক-জীবনের ট্র্যাজেডি এটাই যে সুন্দরীর কাজল-কালো চোখ কিংবা কটাক্ষ প্রেমিকপুরুষের ঘুম কেড়ে নেয়, জীবনকে ওলট-পালট করে দেয়, অথচ চিকিৎসক দেখেন চোখের শিরা-উপশিরা শুকিয়ে যাচ্ছে। চিন্তিন হন রেটিনা শুকিয়ে যাচ্ছে দেখে কিংবা গ্লুকোমার সম্ভাবনা তাঁকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। নারীর স্তনের সৌন্দর্য দেখার বদলে তাঁকে বুঝতে হয় ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ ফুটে উঠেছে কিনা। সুতরাং, একজন চিকিৎসকের পক্ষে কবিতা লেখা যে কতখানি কঠিন তা একমাত্র চিকিৎসকই জানেন। এতদ্সত্ত্বেও যে চিকিৎসক কবিতা লেখার কথা ভাবেন তাঁকে প্রশংসা করতেই হয় তাঁর সুকুমার মনের সজীবতার জন্য।
আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1 (h)