O Chhand Please
লেখক : জলি নন্দীঘোষ
পৃষ্ঠা : 64
আলোছায়ার ছককাটা ঘরে এক্কাদোক্কা খ্যালে জীবন। উবু-দশ-কুড়ি করে দান বদলে যেতে থাকে বারে বারে। বিষাদ আসে কুয়াশার মতো। আনন্দমাখা একমুঠো আলো ভোরের মতো এসে চিবুক ছুঁয়ে যায়। টলটল করে কিছু অশ্রু বুকের তলে। বেদনার ছড়ে টান দিয়ে কে যেন কী সুর বাজায় রাতভোর। কবি লেখেন- “বিষন্ন বাতাস / ছেয়েছিল চারদিকে / জ্যোৎস্নার মতো / ভেজা ভেজা মৃদু আলো / বাতাসের গা থেকে / চুয়ে চুয়ে পড়ে- সেই আলোয় এসে মন দাঁড়ায়। পরমেশ্বরী যন্ত্রণার মূর্তি গড়ে কোনো এক অনন্ত ছুতোর, কালের নাটমন্দিরে দাঁড়িয়ে। কবি দেখতে পান – ‘ছাদের কার্নিশ বেয়ে / উঠছে জ্যোৎস্না, তোমার চুলে / কালো অন্ধকার সরাচ্ছে দু-হাতে’ – ফুটে উঠছে কোনো এক বন্দিনী রাজকন্যার মুখের আদল। সে আদলে এ কোন মুখের ছায়া? আমারই? নাকি ফোরানো স্বপ্নের কোনো ফসিল এখানে? প্রশ্নে প্রশ্নে পথ নিরুদ্দেশ হল। শুধু পথের ধারের কিছু ফুল, কিছু ফাঁকফোঁকরের গল্প এখানে কবিতায় কবিতায় এসে জমা হল।
আকার (cm) : 14.3 (l) X 22 (b) X 1 (h)