Kebol Stobdhata Jure
লেখক : কৃষ্ণালক্ষ্মী সেন
পৃষ্ঠা : 72
স্তব্ধতা। স্তূপীকৃত স্তব্ধতায় কথামুখর হয়েছে এইসব কবিতার নিজস্ব শরীর। এখানে আশ্চর্য যত পঙ্ক্তির ভিতরে এসে পড়েছে জানাশোনা রোদ, অনুমেয় দ্বন্দ্ব, এক দৃশ্য থেকে আর এক দৃশ্যে মানুষ, মানুষের প্রিয়-প্রিয়তম মুখ ও পালকের নির্জন নীলিমার অনুভূতি। কবিতা ছুঁয়ে কবিতায় বিরামহীন চলা যখন একরাশ আলোময় কথার খোঁজে, তখনই এমন করে উপলব্ধ শব্দ সব অনায়াসে, সহজসিদ্ধিতে নামিয়ে আনেন কবি কলমের ডগায়।
‘অনেকটা সময় চলে গেল। আবার ভুল?/আবার পাটিগণিতে মস্তিষ্ক অচল?/বলেছিল, ‘দিনের গায়ে কখনও কুয়াশা জমতে দিও না'/কী জানি কেন রোজ দুপুরে আমার/দিনগুলোর গায়ে তীব্র জ্বর আসে/আশ্রয়ের খোঁজে নেমে দেখি/কবিতার পাণ্ডুলিপির ভিতর মৌন বসন্তকাল।/তার কথা লিখে রাখি খাতার প্রথম পাতায়/আমার দিনগুলো ভূতুড়ে বাড়ির মতো/নিঝঝুম হওয়ার আগে/হেঁটে যাক অক্ষরের দিকে।'
বিস্মিত জীবন, অনুপম বেঁচে থাকা, ছড়ানো-ছিটোনো প্রেম, মুঠোফোন-নির্ভর পাটভাঙা আধুনিকতা, খাঁ খাঁ নিঃসঙ্গতা, একাকী মনের কানামাছি মুহূর্ত যত— কবিতার মুখ-অভিমুখ তো এ সমস্ত বিষয় লক্ষ্য করেই। এই বইয়ের কবিতাগুলি ধারণ করে আছে কিছু যাপনকথা, পথ আর স্বগতোক্তির মতো দিনরাত। লঞ্চঘাটে ভেসে বেড়ানো বেগুনিরঙের বিকেল, রাস্তায় ছড়ানো ছিটানো মাংসের কিমার মতো গাঢ় বেদনা, ডাকবাক্স-ভর্তি গোপন চিঠি ও বৃষ্টিভেজা কলকাতা… এ সব কিছু নিয়েই কৃষ্ণালক্ষ্মী সেনের আপনকথা, সৃজনীভুবন।
আকার : 22 (h) × 15 (w) × 1 (d)