Badshah-Naamdar
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠা : 160
বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলি আকারে ছোটো। ‘বাদশাহ নামদার’ কিন্তু তা নয় ৷ সম্রাট হুমায়ূনকে নিয়ে লেখা অসাধারণ একটি উপন্যাস। কিন্তু হুমায়ূনকে নিয়ে উপন্যাস লেখার ইচ্ছে হল কেন? নিজের নামের সঙ্গে সম্রাটের নামের সাদৃশ্য থাকায় হয়তো লেখক দীর্ঘদিন ধরে এই সম্রাটের জীবন নিয়ে ভেবেছেন। তা ছাড়া, যে কোনো ঔপন্যাসিকই হুমায়ূনের মতো এমন অতি বিচিত্র এক চরিত্র নিয়ে যে কাজ করতে উৎসাহী হবেন তা খুবই স্বাভাবিক। হুমায়ূনের মতো বর্ণময় এক চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য লেখককে আলাদা করে কোনো গল্প বানাতে হয়নি। এমনিতেই নাটকীয়তায় ভরা সম্রাট হুমায়ূনের জীবন। প্রচুর বইপত্র পড়ে লেখক এই উপন্যাসটি রচনা করেছেন, কিন্তু নিজেকে গবেষক- লেখক হিসেবে প্রমাণ করতে তিনি আদৌ আগ্রহী নন। হিন্দুস্থানের অধীশ্বর দিল্লির সম্রাট শেরশাহকে পাঠানো কবিতায় হুমায়ূন লিখেছিলেন ‘যদিও দর্পণে আপন চেহারা দেখা যায় / কিন্তু তা পৃথক থাকে / নিজে নিজেকে অন্যরূপে দেখা / আশ্চর্যের ব্যাপার।/ এ হল আল্লাহর অলৌকিক কাজ।’