Sei Nayak Durgadas
লেখক : সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 120
‘যে পার্টই করি না কেন, নাটকে আমি সাপ খেলিয়ে দেব’-না, এ কোনো প্রলাপ নয়, বেসামাল অবস্থার প্রকাশও নয়, দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের অতি স্পষ্ট এক উচ্চারণ। বলেছিলেন দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সেকালের বাংলা চলচ্চিত্রের নির্বাক ও সবাক যুগের এবং পেশাদারি মঞ্চের সুদর্শন খ্যাতিমান রোমান্টিক নায়ক। কলকাতার স্টার রঙ্গমঞ্চে অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ‘কর্ণার্জুন’ নাটকে ১৯২৩ সালে বিকর্ণর ক্ষুদ্র ভূমিকায় দুর্গাদাসের প্রথম আবির্ভাব, কিন্তু এই ক্ষুদ্র ভূমিকাতেও বিস্ময়কর প্রতিভার যে স্বাক্ষর রেখেছিলেন উনত্রিশ বছরের দুর্গাদাস, যে বিপুল সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন-বাংলা রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে তার তুলনা নেই বললেই চলে। দক্ষিণ গড়িয়ার অতি বিখ্যাত সম্রান্ত ও ধনবান জমিদার বংশের সন্তান দুর্গাদাস। নাটক তাঁর শিরায়-শোণিতে, নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে, তাঁর চলায়-বলায়, ধমনীতে, তাঁর আয়ত ইঙ্গিতময় দু’চোখে। তাঁর চকিত চাউনির ধরন, তাঁর কণ্ঠস্বর ও দেহসৌষ্ঠব যেন জাত অভিনেতারই সম্পদ। সংরক্ষণশীল জমিদার পরিবারের বাধার কঠিন শৃঙ্খল তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দি করে রাখলেও যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিনি স্পষ্ট বুঝেছিলেন এসব ছিন্ন করে তাঁকে বেরিয়ে পড়তেই হবে যেখানে তাঁর প্রাণের প্রকাশ হবে স্বতঃস্ফূর্ত। এই বই দুর্গাদাসের দুঃখ-যন্ত্রণা, কঠোর সংগ্রাম ও ব্যথা-বেদনার এক অত্যাশ্চর্য আলেখ্য, তাঁর জয়ের কাহিনি।
আকার (cm) : 14 (l) X 21.5 (b) X 1.3 (h)