Jatismar
লেখক : হীরেন বসু
পৃষ্ঠা : 384
পায়ের টানে পথ বানাবার নেশাটা বড্ড নাছোড়। আর মনের সুতোয় মন জড়ানোর খেলাটা আরও সাংঘাতিক। তবুও এই দুই ঘুঁটির চালেই জীবন ঘর ছেড়ে পরের দিকে ছোটে। গৃহীর সঞ্চয়কে একপাশে ফেলে কখন যেন ভবঘুরের ঝুলি কাঁধে তুলে নিয়ে বেড়িয়ে পরে। আর তারপর শুধুই রোমাঞ্চ, শুধুই নিত্যনতুন রঙের খেলা, আনন্দ-বিষাদের আলোছায়া। আত্মীয়তার নতুন নেমন্তন্নের চিঠি রাখা পথের দুপাশে। ফেলে আসা দিনগুলি স্মৃতির তলে-অতলে জমতে জমতে যেন বিগত এক জীবনের আখ্যান হয়ে যায়। অথচ আগামী চিরনতুন। তাকে ঘিরে জানার কৌতূহল, দেখার অশ্লেষ প্রৌঢ় থেকে প্রাচীন হতে-হতেও ফুরোয় না। পঞ্চবর্ষীর চোখেও সেই এক মায়াঞ্জন। তাই ফেলে আসা সময়ের টুকরোগুলোকে এক জায়গায় করে, শব্দে সাজিয়ে সাজিয়ে কিছু আলোকে গাঁথা হল এখানে ‘জাতিস্মরের শিল্পলোক’, ‘জাতিস্মরের পান্থশালা’, ‘জাতিস্মরের চিত্রলোক’ নামের তিন অধ্যায়ের বিন্যাসে। মানবজীবনের আলো, মানবজমিনের কর্ষণজাত কিছু ফসল। সে-আলো কাছের, কিংবা আলোকবর্ষের দূরত্ব তার মাঝখানে। তবু এই তার শেষ সত্য যে, নেভা তারার মতন সেইসব দিন অতীত হলেও আলোর পথটা এখনও ফুরোয়নি। এখনও সেই অতীত সাড়া জাগায়, এখনও সেই পথ ঘরের দোরে এসে ডাক পাঠায়। ফেলে আসা স্মৃতির সামনে দাঁড় করিয়ে আমাদেরও করে তোলে জাতিস্মর।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 21.5 (b) X 3 (h)