Ode To My Mother's Gigolo
লেখক : স্বাগতা দাশগুপ্ত
পৃষ্ঠা : 96
‘...মা আমি অর্ধেক তোমারই অর্ধেক যে তার ওই নাভিমূল/ ছিড়ে ফেলা হা হা আমাকে ছুটিয়ে মারে শেষ। তার অবগতি বুঝে দ্যাখো/ চুল্লিবুল্লি মাগো, ধিনাক ধিনাক ওই সাবালক হাসি। মাতৃহীনতার শোক ছড়িয়ে থাকে জীবনের আনাচে-কানাচে, ভিতরে-বাইরে। মৃত্যুর স্পর্শে হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ হলেও সম্পর্ক ভেসে চলে না-পোড়া নাভির মতোই, যা ধরে রাখে পূর্ববর্তী জীবনের আনন্দ, যন্ত্রণা আর অবিরাম কষ্ট পাওয়াগুলোকে। আর ধরা থাকে না-পাওয়া শরীর। তার অতৃপ্ত খিদে। এই খিদে বয়ে চলে মায়ের ভস্মীভূত দেহ ছাড়িয়ে সন্তানের চলমান শরীরে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অপরিচিত পুরুষের দিকে তাকিয়ে সে নিজের শরীরে চিনে নেয় মায়ের খিদেকে, নিজের শরীরে বহু পুরুষের স্পর্শে খুঁজে পায় মায়ের তৃপ্তি। আর কী আশ্চর্য, একদিন সে তার শরীরে অনুভব করে আরও হাজার হাজার অভুক্ত শরীরের ছটফটানি, যা বয়ে নিয়ে তারা, ঘুরে মরে আজীবন। সবার খিদে এক শরীরে নিয়ে মেয়েটি আবিষ্কার করে তার আদিম পিতাকে। একেবারে অন্যরকম ভাষা নিয়ে লিখতে এসেছেন স্বাগতা। শব্দচয়নে, বিষয় নির্বাচনে গতানুগতিকতার অনেকটা দূর দিয়ে হাঁটছেন তিনি। ইতিমধ্যে স্বাগতার ‘নিজস্ব ভাষা’ নিয়ে নানা মত ঘোরাফেরা করছে। শূন্য দশকের এই কবিকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদও উঠছে ক্রমশ।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1 (h)