Andhokarer Palok
লেখক : সৌভিক গুহ সরকার
পৃষ্ঠা : 64
উত্তরাধিকার কি আমাদের কক্ষভ্রষ্ট করে? আমাদের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তগুলিকে যাপনের আগুনে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দেয়? বলতে চাওয়া কথাগুলি বাসি হয়ে পড়ে থাকে আমাদের উঠোনের আবডালে। দেখাগুলি পুরোনো হয়ে গেছে সেই কবে। পৃথিবীটাও আর নবীন নেই। একটা পুরোনো পোশাক আমাদের ট্রাংকের মধ্যে অনিবার্য নিয়তির মতন পড়ে আছে। কবি লেখেন— ‘মৃত কবিরা শয়তান/ তারা নষ্ট করেছে আমায়/ লুঠ করেছে আমার স্বাতন্ত্র্য/ চশমার পর চশমা এগিয়ে দিয়েছে আমার হাতে/ আমি মৃতকবিদের চশমা পরে যৌবন কাটিয়েছি—/ আজ চশমা খুলে তাকাতে ভয় করে। নিজস্ব চোখে পৃথিবী দেখিনি আজও-’ সত্তার সন্ধান ক্রমে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে চলে। তবুও কোনো এক শেষ সত্যকে খুঁজতে গিয়ে কামারশালায় ঢুকে আপন প্রজন্মের কোনো একটি ছাঁচ গড়তে চায় সে। সংলাপের কোলাজে ঘেরা অস্তিত্ব নিয়ে কবি লেখেন— ‘যারা তাকিয়েছিল, কিন্তু দেখতে পায়নি/ যারা শুনেছিল, কিন্তু বুঝতে পারেনি/ সেই সব অতৃপ্ত শিল্পীদের আত্মা/ উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়। খুলির পাহাড়ে—... আমি তাকিয়ে থাকি, কিন্তু দেখতে পাই না—/ আমি ঠোঁট নাড়ি—আমার কণ্ঠস্বর আমার নয়-’ এভাবেই নিজস্ব রংবিহীন গোটা একটা বিবর্ণ প্রজন্মের কথা লেখেন কবি। নিমগ্ন গহন হৃদয়ের চোরা টানে তাঁর কবিতা খাতা ভরে ওঠে। শব্দের জাফরিকাটা নকশায় জেগে ওঠে তার হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশের সংলাপগুলি।
আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1 (h)