Satyajit : Jibon Aar Shilpa
সম্পাদনা : সুব্রত রুদ্র
পৃষ্ঠা : 1008
রেনেসাঁসের প্রাণরহস্য যদি হয় সার্বিক মানবমুখিতা তাহলে সত্যজিৎ রায়কেই সম্ভবত চিহ্নিত করতে হয় তার সার্থক শেষ বাঙালি প্রতিভূ বলে। রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকার তার ওপর বর্তেছিল সফলতমভাবে, শুধু তার আত্মপ্রকাশের মাধ্যমটি ছিল আলাদা। প্রদর্শশিল্পে শেষতম সংযোজন সিনেমা, সারা বিশ শতক জুড়ে চলেছে তারই আগ্রাসী অগ্রগমন। সত্যজিৎ এ শিল্পরীতিতে এনে দিয়েছেন নবীনতর ও গভীরতর মাত্রা, জীবনের বিচিত্রমুখী ছায়া আলোর বিচ্ছুরণে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নিরন্তর উদ্ভাস। তাঁর সঞ্চরণ ‘পথের পাঁচালী’ থেকে ‘আগন্তুক’ পর্যন্ত। তাঁর প্রথম ও শেষ ছবি দুটির নামের মধ্যেই যেন রয়ে গেছে এক অন্তহীন চলার আভাস, এ চলাই বাংলা সিনেমাকে পৌঁছে দিয়েছে প্রদেশের সীমা পেরিয়ে পৃথিবীর প্রদর্শশালায়, আন্তর্জাতিকতার আসরে। ভারতীয় সিনেমায় এখনও তিনিই শেষ কথা। শুধু যে সিনেমা তা নয়, সত্যজিতের সফল ভ্রমণ মানববিদ্যার নানান শিখরে। অঙ্কনশিল্প থেকে সংগীত, প্রচ্ছদ থেকে অন্তরপট, গোয়েন্দা থেকে শুরু করে কল্পবিজ্ঞান, জগৎ ও জীবনের রহস্যময় সরলতা ও জটিলতা তিনি প্রকাশ করে গেছেন বিবিধ ধরনের গল্পের মধ্য দিয়ে। তাঁর সৃষ্ট দুটি চরিত্র প্রফেসর শঙ্কু ও ফেলুদা বাংলা সাহিত্যে ঠাই করে নিয়েছে চিরকালের মতো। সত্যজিতের শিল্প ও জীবন নিয়ে সর্বতোমুখী সংকলন এ বই। এখানে রয়েছে তাঁর জীবনীপঞ্জি, চলচ্চিত্রপঞ্জি, রেকর্ডপঞ্জি, গ্রন্থপঞ্জি, প্রাপ্ত পুরস্কারের তালিকা ও রচনার বিবিধ সূত্র। সুব্রত রুদ্র দীর্ঘদিন যাবৎ এই রচনাগুলিকে তাঁর সম্পাদনায় সুনিপুণ পারিপাট্যে সুগ্রথিত করে এই গ্রন্থটিকে পূর্ণতা দিয়েছেন। প্রয়াত শিল্পীর পঁচাত্তর বছর জন্মদিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রকাশিত হয়েছিল ‘প্রতিভাস’-এর এই কালজয়ী বই। আবার ১৫ বছর বাদে শিল্পীর নব্বইতম জন্মদিনে প্রকাশিত হল এই কালজয়ী বইয়ের নতুন সংস্করণ।
আকার (cm) : 16 (l) X 24 (b) X 4.5 (h)