Riksha Mesh Katha
লেখক : সুবোধ সরকার
পৃষ্ঠা : 64
সুবোধ সরকারের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ঋক্ষ মেষ কথা’ সম্ভবত তাঁর দুরূহতম কবিতার বই। উনিশ বছর আগে কৃষ্ণনগরের এক বিধুর লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনা থেকে বেরিয়েছিল বইটি, হয়ত একদল দুরূহ পাঠকের জন্য। এই বইয়ের কবিতাগুলি সুবোধের কবিতার অন্য এক জগৎ নির্মাণ করেছিল, যে জগতে বাবার মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ শুরু হয়, যেখানে একই নারীর স্তন নিয়ে লোফালুফি করে বাবা ও ছেলে— এ এক আশ্চর্য অন্ধকার জগতের আখ্যান, আশ্চর্য অন্ধকার ভাষায় রচিত। মধুর ভাষায় মধুর ছন্দে কবিতা লিখে সহজেই যে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় সেই সহজ জনপ্রিয়তার পথকে চিরদিন হেলায় বর্জন করেছেন সুবোধ। মধুর কবিতাকে বর্জন করে নিত্যনতুন ঝুঁকি নিয়েছেন তিনি, নানারকম পরীক্ষানিরীক্ষার অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রস্তুত করেছেন নিজেকে। আজকের সুবোধ আর কুড়ি বছর আগের সুবোধ এক নন কিন্তু মধুরতার বিরোধিতা তার চিরকালীন প্যাশন, অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত কবিতা তাঁর শাশ্বত অর্জন। ঋক্ষ মেষ কথার বীজভূমি থেকেই উঠে এসেছেন আজকের সুবোধ সরকার, যাঁর কবিতায় মানব সভ্যতার সংকটগুলি নতুন ভাষায় কথা বলে। প্রান্তিক, কোণঠাসা তৃতীয় বিশ্বের মানুষের স্লান মুখে বুলি ফোটে। নতুন সহস্রাব্দের তুখোর, মরমী, ঝাঁ চকচকে কবিতাভাষা তৈরি হয়। তাঁর কবিতার আয়নায় ধরা পড়ে জেরুজালেম থেকে মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর থেকে আমেরিকা, ঋক্ষ মেষ কথা থেকে রামবাবু।
আকার (cm) : 14.3 (l) X 22 (b) X 1.2 (h)