Titaspuran
সংকলন ও সম্পাদনা : সাজেদুল আউয়াল
পৃষ্ঠা : 240
তিতাস একটি নদীর নাম। এ-নামেই উপন্যাস লিখেছেন অদ্বৈত, চলচ্চিত্র এঁকেছেন ঋত্বিক। সেই ১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তখন ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। কেবল এ-রাষ্ট্রের অভ্যুদয় না হলে ঋত্বিক ‘তিতাস’ আঁকতে আসতে পারতেন না তাঁর সেই কবে ছেড়ে যাওয়া বাংলার পূর্বাংশে। তিনি এসেছিলেন বলেই বেশ কিছু সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল তাঁর; চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর লিখিত হয়েছিল পক্ষে-বিপক্ষে বাংলা-ইংরেজিতে সমলোচনা; তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিল মন কেমন করা কিছু স্মৃতিচারণাও। এ-সব রচনায় জমা হয়ে আছে চলচ্চিত্রস্রষ্টা ঋত্বিক সম্পর্কে মূল্যায়ন, ‘তিতাস’ নিয়ে নানাজনের নানা মত। এগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু চলচ্চিত্রবিদ্যার শিক্ষার্থী-গবেষকদের কাছেই নয়, সাধারণ পাঠকের কাছেও রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। একইসঙ্গে রচনাগুলো দেশজরীতিতে বাংলা চলচ্চিত্র আঁকার এক অননুকরণীয় ‘চলচ্চিত্রকার’- এর স্রষ্টাবৃত্তির সাথে নতুন প্রজন্মের পাঠকবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেবে। কিছু স্থিরচিত্রও রাখা হয়েছে গ্রন্থে- যাতে ধরা আছে এমন সব স্মৃতিমথিত মুহূর্ত যা সেই সময়কার ঋত্বিককে অকস্মাৎ পাঠকের সামনে উপস্থিত করবে। সংকলনধর্মী এ-গ্রন্থে ‘তিতাস’ সম্পর্কিত প্রায় সবকিছুই একত্র করা হয়েছে বলে এর নাম রাখা হয়েছে ‘তিতাসপুরাণ’। এ-পুরাণ অমৃতসমান।
আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1.5 (h)