Apomaner Shes Din
লেখক : শ্যামলকান্তি দাশ
পৃষ্ঠা : 64
জীবন ভারি মজা করে আমাদের নিয়ে। সে আমাদের বাঁচার পথে কোমলতার সঙ্গে কিছু কঠোরতা মিশিয়ে রাখে, ফাগুনের আড়ালে কিছু কাঁটা বিছিয়ে দেয়, আবার আঘাতের শেষে কিছু শুশ্রুষার আশ্বাসও রেখে যায়। সূচকের কোন মাত্রায় গিয়ে যে চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার সামঞ্জস্য আসবে তা বোঝা ভার হয়ে ওঠে। রোজকার কান্নাহাসিগুলো কেমন যেন জট পাকিয়ে যায় আমাদের। আমরা দেখতে পাই—'না-বলা কথায় পুরো দ্বাপর যুগটাই শেষ হয়ে গেল/ কথা বলতে গিয়ে হু হু করে কাঁদছি আধ ঘণ্টা এক ঘণ্টা/ জড়িয়ে ধরবার আগে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসছে... / ধরো কথা বলতে বলতে তুমি হি হি করে হাসছ। পেত্নির মতো/ প্রেতের মতো আমিও পাষাণ ফাটিয়ে হাসছি’। খাদের ধার থেকে আমাদের প্রেতজীবনকে কি এইসব হাসিগুলিই বারে বারে ফিরিয়ে নিয়ে আসে? যে মসৃণ পথের সন্ধান আমরা আজীবন করে চলি, তার গন্তব্যে গিয়ে কোনোদিনও কি আমাদের চলা ফুরোয়? বড়ো অশান্ত এক সময় ক্যালেন্ডারের নাছোড় পাতার আদি-অন্ত জুড়ে ঝুলতেই থাকে। পাখিদের ডানা ভারী হয়ে আসে। মাছের চোখে ক্লান্তি জমে। অনেক রক্তপাত আর জমাট বাঁধা কলঙ্কের শেষে 'কচি বউ আর তার পেটভরতি সন্তান’- কে আমরা কোন পরিত্রাণে পৌছে দিতে চাই? নিজেরাই কি জানি এসব প্রশ্নের উত্তর? তবু খুঁজে চলি। মানের তলানিতে এসে জমা কোনো এক সম্মানের তাবিজ প্রতিদিন একটু একটু করে অঙ্গে ধারণ করি। এইসব ছড়ানো কিছু বাঁচার টুকরো আর দিনযাপনের রোজনামচা ঘেরা পরিত্রাণকে খুঁজতে খুঁজতেই জমে উঠল এই দুই মলাটের কবিতাগুলি।
আকার (cm) : 14.4 (l) X 22 (b) X 1.2 (h)