Ragprodhan Ganguli
লেখক: শৈলেশ্বর ঘোষ
পৃষ্ঠা: 96
প্রতিবাদের সাহিত্য কবি শৈলেশ্বর ঘোষ জানিয়েছিলেন, 'যিনি সম্পূর্ণ জেগে ওঠেন, বস্তুসমুহের ষড়যন্ত্রময় অবস্থানের বিরুদ্ধে তিনিই বিদ্রোহ করেন - তিনিই কবি।ঘুমন্ত এবং অর্ধজাগ্রত সমাজের কাছে তিনি বিপজ্জনক। নিজের ভিতর থেকে ক্ষমতার ভাষা ধ্বংস করার কাজ শুরু করেন তিনি।' 'স্বেচ্ছাচারীর আক্রমণে শক্তির কাঠিন্য আমাদের হৃদয়ে / ভালবাসার প্রজনন হয়'। বর্তমান কাব্যগ্রন্থটিতেও রয়েছে অবিস্মরণীয় এমন কিছু পঙ্তিমালা, যা বাংলা সাহিত্যের ধারাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। তাঁর কবিতা নিয়ে সমালোচকদের বহু বিপরীতধর্মী মতামত প্রকাশিত। কেউ বলেছেন তাঁর কবিতা, “একজন নঙ মানুষের শেষ ইতিবাচক অনুসন্ধান”। কেউ বলেছেন, “তার সমগ্র কবি কৃতিই হয়ে উঠবে অপরাধ আত্মার নিষিদ্ধ যাত্রা।'' আবার কারও মতে, তিনি বাংলা ভাষার প্রবল বিতর্কিত কবি। “বিতর্ক তার কবিতার বিষয়, আঙ্গিক, দৃষ্টিকোণ এবং ভাষা ব্যবহার নিয়ে, বিতর্ক তাঁর কাব্যলক্ষ্য নিয়ে, বিতর্ক তার অস্তিত্ববাদী আর্তনাদ নিয়ে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবস্থান সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী। অপরাধীদের প্রতি কাব্যগ্রন্থের কবি এই গ্রন্থে জানিয়েছেন, ‘ফুল হয়ে যদি ফুটতে পারি কোনদিন সব অবরোধ ভেঙে দেব’। মধ্যবিত্ত ভাবধারার পঙ্কে নিমজ্জিত বাংলা সাহিত্যে তিনি পুরোপুরি অবাঞ্ছিত, এরকম মনে করেন কেউ কেউ। দীর্ঘ ২৫ বছর হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের একেবারে পুরোভাগে ছিলেন। তার পরের ২৫ বছরের ইতিহাস একজন একক কবির নিঃসঙ্গ যাত্রার ইতিহাস।
আকার (cm): 14 (l) X 22 (b) X 1.3 (h)