Trigare Thekano Ek Nirdoy Angul
লেখক : রঞ্জনা রায়
পৃষ্ঠা : 64
আসলে সত্যিই তো ধরা তো পড়ে দেহটাই। মনটা তো ধরা পড়ে না। তাইতো বিদ্রোহ জাগে। বিদ্রোহ অমর হয়। আক্ষেপগুলি আটকে থাকে দেহে। তবু কিছু গাঢ় দহন নারীজন্মের খাঁচায় আটকা-পড়া মনটাকেও ছোঁয় কখনো-বা। অপমান গা- সওয়া হতে হতেও মুখের রেখাগুলিকে অজান্তে বেঁকিয়ে দিয়ে যায়, লোলুপতার দিকে হিম দৃষ্টিতে তাকাতে গিয়েও চোখ ঝাপসা হয়ে আসে কখন যেন। অভিমান? অত মোলায়েম কিছু নয়। আসলে সব অনুভূতিগুলো তালগোল পেকে যায়। কবি লেখেন— ‘দ্রৌপদীরা বড়ো একা—ট্রামে, বাসে, বনে, রাজপ্রাসাদে / হাতগুলো এগিয়ে আসে, চোখের হাঁ-মুখে জুলে নগ্ন খিদে।/ দ্রৌপদীর শরীর পুড়তে থাকে—/ আগুনে, অ্যাসিডে.../ দুঃশাসনের পৃথিবীতে সখাকৃষ্ণ/ এক অলীক বাস্তব!’ –এই বাস্তব চেনা হাওয়া বারুদ জমায় বুকে। সান্ত্বনাহীন কিছু দ্বিধা তার বেণি ছুঁয়ে থাকে। বহু অপচয়ের পর আজও তবু স্বপ্ন আসে। স্বপ্নের হাত ধরে দুঃস্বপ্নও। নির্দয় স্পর্শের কোনো নিশানা যেন মেয়েকে ঠিক খুঁজে নেয় আত্মগোপনের দল থেকে। এ কোন ফেরারি-জন্ম? এ কোন বঞ্চনার উত্তরাধিকার? মেয়ে লেখে ‘বারুদ অক্ষরে লিখছি একটি চিঠি,/ ভরা বসন্তে খরায় জ্বলছে ফসল ফলানো মাঠ।/ মাঠের শরীরে নখরের কালশিটে, / পলাশের বুকে প্রতিবাদ।/ প্রবল বিষে ঘাসের শরীরে সবুজের রং নেভে। | মাটি আজ কাঁদে, ভাবে / আর কত লাঙলের অভিশাপ দাগ/ শরীরে থাকবে জেগে? নিভৃতি, অন্ধকার একার ঘর, কিছু মান-অভিমান, সন্ধান, ভালোবাসা আর বাঁচার মতন আপ্রাণ কিছু অনুভূতি এখানে কবিতা হয়ে উঠল। এবার পাঠের প্রতীক্ষা...
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.5 (h)