Soumitra
সম্পাদনা : অলক চট্টোপাধ্যায়, মানস চক্রবর্তী
পৃষ্ঠা : 560
জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি। আর সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে সিনেমায় আবির্ভাব ১ মে ১৯৫৯। সম্প্রতি তিরাশিতে পা দিয়ে তিনশোর ওপর সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পরেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এখনও কর্মচঞ্চল। এখনও তিনি জন্মদিনের চাকচিক্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের প্রলোভনকে দূরে সরিয়ে রেখে সারাদিন মেতে থাকেন নাটক নিয়ে। একটা নয়, ডাবল রোল করতে হয় তাঁকে। সিনেমা তাঁর পেশা, নাটক তাঁর প্যাশন। সত্যজিৎ রায়ের হাতে তিনি কখনও অপু, কখনও গঙ্গাচরণ, কখনও নরসিংহ কিংবা ফেলুদা। তপন সিংহের ময়ূরবাহন, আবার হয়ে ওঠেন হুইল চেয়ারের আরোহী। সাত পাকে বাঁধা-র অধ্যাপক থেকে আতঙ্কগ্রস্ত পিতা, থিয়েটারের রাজকুমার থেকে সিনেমায় চোর অঘোর- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিস্তার যেন দূর হিমালয় থেকে সাগর পর্যন্ত। তাঁর পাঁচ দশকের কর্মজীবনে রয়েছে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য নাট্যকাহিনি। বিদেহী থেকে রাজা লিয়র, বিধি ও ব্যতিক্রম, টিকটিকি, ফেরা, নীলকণ্ঠ, নামজীবন, হোমাপাখি। এরই মধ্যে তাঁর কবিতা কিংবা গদ্য- সে-ও তো পাহাড়ি ঝরনা কিংবা সুমহান পর্বতের মতোই মাথা উঁচু করে থাকা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল উত্তরাধিকার। নাট্যপরিচালক হিসেবে তিনি গিরিশচন্দ্র ঘোষ কিংবা শিশির ভাদুড়ির সার্থক উত্তরসূরি, প্রকৃত পরম্পরা। আবার এই সৌমিত্রই গত দুই দশক ধরে রং-তুলিতে নিমগ্ন, এঁকে চলেছেন ছবির-পর-ছবি। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নিজস্ব ঘরানায় সার্থক আবৃত্তিকারও। এসব নিয়েই চিরন্তন গ্রন্থ নির্মিত হল- সৌমিত্র, যা তাঁর বহুমুখী প্রতিভার ধারক-বাহক, কিংবা তাঁরই গভীর জীবনবোধের পরিচয়।
আকার (cm) : 18.5 (l) X 24.5 (b) X 3 (h)