Sahitya O Pathak লেখক : শ্রীব্রজেন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচার্য পৃষ্ঠা : 190 বাংলা সাহিত্যের যাবতীয় সৃজনের শ্রেণিপরিচয় বা গোত্ৰবিচারের নিরন্তর প্রয়াস অবিতর্কিত নয়। বির্তক এইখানে, বিশেষ সিলমোহরে চিহ্নিত করে সাহিত্যের রূপভেদ চুড়ান্ত হতে পারে কিনা। তবু রূপভেদের পরিচয় গ্রহণ সাহিত্যবিচারের ক্ষেত্রে যে নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় নয়, তাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। গত কয়েক দশক ধরেই বাঙালি পাঠকসমাজে, বিশেষত সাম্প্রতিক কালে, সাহিত্যের রূপভেদ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ইংরেজি বইয়ের প্রাচুর্য সম্পর্কে কোনো মতভেদ নেই। বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে, গত পঞ্চাশ বছর আগে, অধ্যাপক ব্রজেন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচার্যের ‘সাহিত্য ও পাঠক’ প্রকাশিত হলে তখনই ছাত্র-অধ্যাপক-সাহিত্যপাঠক মহলে বিশেষ সাড়া পড়ে যায়। প্রয়াত ব্রজেন্দ্রচন্দ্র গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের বাংলা বিভাগের নামী অধ্যাপকই ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈষ্ণবপদাবলি, শাক্তপদাবলি, চণ্ডীমঙ্গল ইত্যাদি বিস্তর বিষয়ের সুপরিচিত লেখক ছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, সৃজনক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ভুলে যাবার নয়। প্রশ্ন হতে পারে, ব্রজেন্দ্রচন্দ্রের ‘সাহিত্য ও পাঠক’-এর নতুন প্রতিভাস সংস্করণের গুরুত্ব কোথায়? বস্তুত সাহিত্যের পরিভাষা-প্রকরণ-রূপরীতি-রূপভেদের পরিসর যেভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে, তার মূলে পূর্বজদের মনন-বিচারবোধ-জ্ঞানকাণ্ডের ভূমিকাকে মান্য করতেই হয়; এই সূত্রেই ব্রজেন্দ্রচন্দ্রের স্বাতন্ত্র ও সাফল্যকে অস্বীকার করার জো নেই। আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1.7 (h) |