Kabir Bhabnay Kabita সম্পাদনা : সুব্রত রুদ্র পৃষ্ঠা : 368 কবিতা অনেকেই লেখেন, পড়েনও অনেকেই, কিন্তু কবিতা বিষয়ে লেখা গদ্য ক-জন পড়েন? খুব বেশি মানুষ যে পড়েন না তা জোর দিয়েই বলা যায়। কবিতাকে ভালোবেসে কি জানতে ইচ্ছে করে না কেন কৰি এ ধরনের অত্যাশ্চর্য অকল্পনীয় একটি কবিতা লিখলেন? সেই জানাটুকু হয়ে থাকলে কবিতাকে কি আরও বেশিভাবে উপভোগ করা যায় না? হ্যাঁ, একথা ঠিক যে কবিতার আলোচনা পড়ে কবি হওয়া যায় না। কিন্তু একথা হয়তো ভোলা উচিত নয়, সকলেই যেমন কবি হন না, তেমনই সকলেই কবিতার পাঠকও হন না। কবিতার পাঠকেরও নানা শ্রেণি আছে। বুদ্ধদেব বসু বা শঙ্খ ঘোষ শুধু বিখ্যাত কবিই নন, কবিতার পাঠক হিসেবেও তাঁরা শ্রদ্ধেয়। কবিতা বিষয়ক আলোচনাগুলি পড়লে যেমন কবিকে জানা যায়, তেমনই কবিতাকেও আরও ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। বুদ্ধদেব বসুর মতো পাঠকই তো বলতে পারেন বিষ্ণু দে-র ‘হে দূরদেশের বিশ্ববিজয়ী দৃপ্ত ঘোড়সওয়ার’-এর মধ্যে তিনি ঘোড়ার পদশব্দ শুনতে পেয়েছেন! শঙ্খ ঘোষের মতো পাঠকই তো দেখতে পান যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’-র মধ্যে মিছিলে হেঁটে-যাওয়া মানুষের মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতের ছবি ফুটে উঠেছে! ওয়র্ডসওয়র্থের ‘প্রিফেস টু লিরিক্যাল ব্যালাড্স্’, সিডনির ‘অ্যান অ্যাপলজি ফর পোয়েট্রি’, কোলরিজের ‘বায়োগ্রাফিয়া লিটারারিয়া’ পড়লে তাঁদের কবিতাকেই আরও ভালোভাবে যেন উপভোগ করা যায়। সুব্রত রুদ্র বর্তমান সময়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি এবং প্রবন্ধকার, অনেক মূল্যবান গ্রন্থের সম্পাদক। এই গ্রন্থের সম্পাদকও তিনিই। এই গ্রন্থের ‘উৎস’ অংশটি লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে কতখানি পরিশ্রম এই গ্রন্থটির প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই গ্রন্থ শুধু সাহিত্যের ছাত্র ও অধ্যাপকদের জন্যই নয়, কবিদের ও কবিতা প্রেমিকদের জন্যও বটে। বাংলাভাষায় এ ধরনের সংকলন আগে কখনও ছিল না। সুব্রত রুদ্র এক নতুন পথের সন্ধান দিলেন। আকার (cm) : 16 (l) X 24 (b) X 3 (h) |