108 Kholamelar Melakhelaye : Baoul-Fakir-Aantoj Katha
লেখক : ল্যাডলী মুখোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 200
কখনও হাতের কাছে ঘুটিয়ারি শরিফে বাঘের গোঁসাই-এর মেলা, কখনও বা বিষয়পুরের ধর্মঠাকুরের মেলা, আবার কখনও পাথরচাপুড়ির মাস্তানদের মেলা; বাংলার গ্রামে-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে থাকা নানা মেলায় লেখক গত তিন দশক ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রান্তিক মানুষের, লোকায়ত জীবনের নিজস্ব ভাষাটিকে চিনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে, এক সরাসরি ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভাষাসন্ধানে। যেসব মেলায় মানুষ অংশ নেয় জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সহজ মুক্তির আনন্দে। এই মেলাগুলির মধ্যে রয়ে গেছে নানা কিংবদন্তি, উপকথা আর গ্রামীণ জীবনে অন্তঃশীল লোকগানের স্রোত। বেশিরভাগ মেলাক্ষেত্রেই মূল আকর্ষণ বাউল ফকিরের গান, যার নিরবচ্ছিন্ন ধারাটি আজ এই ব্যতিক্রমী জীবনচর্যার সঙ্গে-সঙ্গেই ক্ষীয়মাণ। এই সময়কালে দ্রুত বদলেছে বাংলার সমাজ-সংস্কৃতি আর সেই সঙ্গে বদলে গেছে এই মেলাগুলির চেহারা। শহুরে, ব্যবসায়ী আর বিজ্ঞাপনী মানসিকতা, লাউডস্পিকারের ক্যাকোফনি ক্রমশ আরও কোণঠাসা করে ফেলছে অন্ত্যজ মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে। প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার প্রচলিত ধারার বাইরে দাঁড়িয়ে এই বইয়ের লেখাগুলি গ্রথিত করেছে খোলামেলার এক ইতিকথা যা লেখকের নিজস্ব অভিজ্ঞতায় জারিত। তুলে ধরেছে, এই মেলাগুলিকে যারা বছরের পর বছর নিজেদের প্রাণশক্তিতে, সুরে, ছন্দে সঞ্জীবিত করে রেখেছেন, তেমন অনেক চেনা-অচেনা বাউল ফকিরের সঙ্গযাপনের খণ্ডচিত্র; তার মধ্যে যেমন আছেন পূর্ণদাস, গোষ্ঠগোপাল আর গৌরখ্যাপা তেমন আছেন ননিখেপি আর কানাই বৈরাগী। সেইসঙ্গে মেলাখেলার দিনগুলি রাতগুলির নির্যাস ধরা পড়েছে অজস্র ফোটোগ্রাফ আর হিরণ মিত্রের অমূল্য কিছু স্কেচের নির্মাণে।
আকার (cm) : 22 (l) X 27.8 (b) X 2 (h)