Vidyasagar Tin Shotoker Chokhe
সম্পাদনা : অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য
পৃষ্ঠা : 544
তিনি ছিলেন বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা। বাংলা গদ্যের জনক, বালক রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ‘আদি কবি’। যতই বঙ্কিমচন্দ্র উত্তেজনার ফণা তুলে বলুন ‘হি ইজ ওনলি প্রাইমার মেকার’, সেই বঙ্কিমচন্দ্রকেই বিদ্যাসাগরের প্রয়াণের পর বলতে হয়েছিল, ‘তাঁহার শোকে আমরা সকলেই কাতর।... সকলেই রোদন করিতেছি।’ সেই দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর সেই বিদ্যার ঈশ্বর বিদ্যাসাগর সেই ধুতি চাদর পরিহিত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আজ প্রতিটি বঙ্গবাসীর নিকট প্রাতঃস্মরণীয় প্রণম্য পুরু। সেই তাঁর কাল থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর প্রতি বাঙালির কৌতুহল বাঙালির জিজ্ঞাসা অনন্ত। শুধু তাঁর লেখা বর্ণপরিচয় বা ব্যাকরণ কৌমুদী নয়, তাঁর অনুবাদসম্ভার নয়, তাঁর দান ধ্যান দয়া নয়, তাঁর সমাজসংস্কার নয়; সেই মানুষটার ব্যক্তিগত জীবন ও জীবনাচরণের প্রতিও বঙ্গবাসীর কৌতুহল আগ্রহ অপার। উনিশ শতকেই প্রকাশিত তাঁর সম্পর্কে তেরোটি প্রবন্ধ সংকলিত। লেখকদের মধ্যে রমেশচন্দ্র দত্ত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারীলাল সরকার আছেন। বিংশ শতাব্দীতে বিদ্যাসাগর চর্চার বিস্তার ঘটে। এই পর্যায়ে নির্বাচিত ঊনচল্লিশটি প্রবন্ধ সঞ্চয়ন করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম তিন লেখক রবীন্দ্রনাথ, শিবনাথ শাস্ত্রী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। একবিংশ শতাব্দী পর্যায়ে আটটি প্রবন্ধ গৃহীত। মোট ষাটটি প্রবন্ধে এক সমগ্র বিদ্যাসাগর আবিষ্কৃত।
আকার (cm) : 16 (l) X 25 (b) X 3.5 (h)