Prabondha Samagra : Jibanananda Das
সম্পাদনা : দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 320
কবি যখন প্রবন্ধ লেখেন, তার সংখ্যা নেহাত কম হলেও কি তাঁকে প্রবন্ধকার বলা যায়? জীবনানন্দ দাশের ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেয়েছে। দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘জীবনানন্দ দাশের গদ্য-প্রবন্ধের পরিমাণ অনেক নয়, কোনো-না-কোনো সাময়িক নির্বন্ধে, কারও-না-কারও উপরোধে আমন্ত্রণে লেখা বলে তদ্দণ্ডেই প্রকাশিত, অর্থাৎ সে-লেখার প্রায় সবটাই তিনি স্বয়ং প্রকাশ করে গিয়েছিলেন। ‘প্রায়’ এই কারেণই যে আরও কোনো কোনো গদ্য কাগজ-পত্রে সম্প্রতি বেরোচ্ছে, কিন্তু পড়ে দেখা যায় সেও স্বতঃপ্রণোদিত বা সবিস্তার নয়, খসড়া রচনা, হয়তো সময়ে সম্পন্ন হয়ে ওঠেনি বলে দেওয়া হয়নি অথবা প্রকাশিত লেখার পূর্বপাঠ। তাঁর জীবনকালের পূর্ব-প্রকাশিত গদ্যের গ্রহীতাও অবশ্য তেমন দেখা যায়নি, মৃত্যুর পর নরেশ গুহ সাময়িকপত্রের পাতায় প্রক্ষিপ্ত তাঁর দু-চারটি প্রবন্ধের উল্লেখ করে লেখেন, “সেও একরকম কবিতাই, তাঁর কবিতার মতো বিশেষ এক ধরনের গদ্যে লেখা।” তারপর অবশ্য ‘কবিতার কথা’ বইয়ে সে সব লেখার পনেরোটি সংকলিত হয়, পঠিতও হয়, কারণ একাধিক সংস্করণ হয়ে গেছে সে-বইয়ের। কিন্তু মৃত্যুর তিরিশ বছর পরেও ‘প্রবন্ধকার জীবনানন্দ’ বইয়ে সুব্রত রুদ্রকে লিখতে দেখি, “জীবনানন্দ মূলত কবি, যে স্বল্পসংখ্যক তাঁর প্রবন্ধ আছে।” দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় কবি না প্রবন্ধকার তর্ক না টেনে বরং জীবনানন্দের প্রবন্ধকে তালিকাভুক্ত করেছেন। সাহিত্য সমাজ শিক্ষা, গ্রন্থালোচনা, আত্মপ্রসঙ্গ, স্মৃতি ও খসড়া নিবন্ধের তালিকায় দুই মলাটের মাঝে এ বই প্রবন্ধের জগৎ। জীবনানন্দের জগৎ।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 2 (h)