Mounotaay Vijiyechhi
লেখক : পীযূষ ভট্টাচার্য
পৃষ্ঠা : 64
ভালোবাসা বোধহয় সহনশীল করে আমাদের, প্রতীক্ষা যেমন বাড়িয়ে তোলে আকাঙক্ষাকে। হৃদয় জোড়া আলো নিয়ে কোনো এক আঁধারের বুকে দীপাবলি জ্বালাই আমরা। মৌনতা দিয়ে আমাদের মুখরতাগুলি ঢাকা থাকে। কোনো এক কূল ছাপানো পারাপারের টানে কাঁটাতারগুলো ভেসে যায়। কবি বলে ওঠেন— ‘অপেক্ষায় আছি-/ জাতি-দেশ-সম্প্রদায় নিয়ে এত কাঁটাতার/ কবে ঘুচে যাবে, কবে সদর্পে বলতে পারব—/ পৃথিবীর এইদিকটা তোমারও/ আর ওইদিকটা আমারও বন্ধু’। বেড়া পার করা সেই বন্ধুত্বের পথে যেমন এসে দাঁড়ায়, তাঁর ঝুলিভরা ভালোবাসায়, বেদনায়, গাঢ়তম অভিমানেও কখনো-বা যত রক্ত ঝরে, তত যেন প্রমাণ হয় অস্তিত্বের। বুঝি আঘাত আছে বলেই তবে না বাজে বীণার তার। তাইতো কবি বলেন— ‘মধ্যরাতের বিষণ্ণতা,/ যন্ত্রণায় যন্ত্রণায় আমায় দীর্ণ করো, / ক্ষরণে ক্ষরণে রক্তিম হতে চাই। পলাশের মতো। হৃৎপিণ্ড পোড়া পলাশের ভিড়ে শহরজুড়ে বসন্ত নামে। প্রত্যাশা প্রত্যাঘাতে থমকে দাঁড়ায়, অপেক্ষা আক্ষেপ দিয়ে শেষ হয়। তবুও চলা ফোরায় না। কুঁড়ি জাগে ধূসরতার বুকে। স্থির এক প্রদোষে দাঁড়িয়ে কবি লেখেন—‘তোমার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, প্রেম-অপ্রেম, প্রত্যাখ্যান/ সবকিছুকেই ভালোবাসি যে আমি।/ আমার তাই বেহিসেবি প্রত্যাঘাত নেই,/ হিসেবি প্রসন্নতা আছে, একবুক’...
আকার (cm) : 14.5 (l) X 21.8 (b) X 1.2 (h)