Nattya Sangraha লেখক : দীপেন্দ্র সেনগুপ্ত পৃষ্ঠা : 400 “দীপেনের নাট্যচরিত্রকে যা বিশেষিত করল তা হল, বাস্তব। জীবন থেকে সরে গিয়ে ফ্যান্টাসির মধ্যে বিচরণ করা।... অনেকের মধ্যে ফ্যান্টাসির দিকে ঝোঁকটা একটু বেশি থাকায় রিয়ালিস্টিক জায়গাগুলো একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। ওঁর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ওঁর ফ্যান্টাসি বোধহয় চূড়ান্ত সিদ্ধি পেয়েছে ‘গাব্বুখেলা’,‘বাগডুমবাবু’, ‘কাতুকুতু সংবাদ এবং ‘যমে মানুষে’- নাটকগুলিতে। ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যাবে কল্পনার মধ্যে গিয়েও ওঁ কিন্তু বাস্তবের মাটিটাকে কিছুতেই হারাচ্ছেন না। কখনও মনে হয় না এগুলো আকাশকুসুম। এটা হচ্ছে মাটিতে রোপণ করা ফুল যে আকাশের দিকে তাকাতে জানে। কখনও সে মাটিটা ভুলছে না। ফ্যান্টাসির মধ্যেও দেখতে পাচ্ছে সমাজের কতগুলো সংকটকে, সমাজের কতগুলো অশান্তিকে, অপশক্তিকে। সমাজের দুর্নীতির দিকগুলো, ভণ্ডামির দিকগুলো বা বর্জনীয় দিকগুলোর দিকে সে তার শ্লেষ নিক্ষেপ করছে। ফ্যান্টাসি এসেছে, কিন্তু সেগুলো এসেছে সোশিয়ো-ইকোনমিক বেসকে বজায় রেখেই এবং সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের জগৎ যে জগৎটাকে ওঁ জানে- তাই লিখেছেন- ও ভণ্ডামি করেননি।” - মোহিত চট্টোপাধ্যায় দীপেন্দ্র সেনগুপ্ত-র স্মরণে লেখা ‘চলে গেল রূপকথার রাজপুত্র’ রচনা থেকে উদ্ধৃত। |