Awdya Sesh Rajani সম্পাদনা : ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী পৃষ্ঠা : 240 এই সংকলনটি কি কোনো বিষাদময়, না কি ব্লো-হট, সে সিদ্ধান্ত নেবেন পাঠক। প্রতিভাস নতুন সংস্করণে দু’মলাটের মধ্যে নিয়ে এল ‘অদ্য শেষ রজনী’ নাটক দেখার পর বিশিষ্ট নানা মানুষের, তাঁদের উচ্ছ্বাস বা অনুভূতি। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় মাসিক কৃত্তিবাস পত্রিকার একটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছিলেন ‘বারবধূ’ নাটকটি নিয়ে, এর পর পরই সে নাটকের প্রধান নট, যাঁকে সে সময়ের নাটকের সুশীল সমাজ ব্রাত্য করেছিল - সেই অসীম চক্রবর্তীকে নিয়ে ধারাবাহিক উপন্যাস - অদ্য শেষ রজনী। এই অসীম চক্রবর্তীই বাংলা নাট্যমঞ্চে প্রথম ব্রেখ্ট ও মিলারকে মঞ্চস্থ করেন। অথচ অশ্লীলতার দোহাই দিয়ে তাঁকে নির্বাসনে পাঠায় সেদিনের এক নাটকের জগৎ। হয়তো কেউ খেয়াল করেননি, ইতিহাস বা নিয়তি সেদিন দূর থেকে মুচকি হেসেছিল, আর তাই ২০১৬-য় আবার গোটা নাট্যমহল স্তম্ভিত হয়ে দেখল ফিনিক্সের মতো ‘অদ্য শেষ রজনী’ আবারও মঞ্চে উঠে এল এই সময়েরই নাট্যকর্মীদের হাত ধরে। প্রথম মঞ্চাভিনয় হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ মোহিত মৈত্র মঞ্চে। ২০১৭-র ১০ মার্চ মেটা ফেস্টিভ্যালে (মাহিন্দ্রা এক্সলেন্স ইন থিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস) নাটকটি পেয়েছে ৬টি পুরস্কার। ইতিমধ্যে ৫ লক্ষরও বেশি মানুষ এ নাটক দেখেছেন। আর তাই পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া হল ‘অদ্য শেষ রজনী’-র প্রতিভাস সংস্করণ। সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ৫ নভেম্বর, ১৯৬৯। পড়াশোনা অর্থনীতি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৪ বছর বয়স থেকে ইন্দ্ররঙ্গ দলে নাট্যাভিনয় শুরু। বর্তমানে পাইকপাড়া ইন্দ্ররঙ্গ দলের কর্ণধার এবং পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। এই সংকলনটি ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীর প্রথম সম্পাদনা। |