রজস্বলা

  • Sale
  • Regular price Rs. 300.00
Shipping calculated at checkout.


Rajaswala

লেখক: অমৃতা ভট্টাচার্য 

পৃষ্ঠা: 80

গায়ের মাটি-ময়লা দিয়ে নিজের সন্তানের অবয়ব তৈরি করেছিলেন গণেশজননী। জন্ম হল সিদ্ধিদাতার। সেই সন্তান, মায়ের নিজস্ব আদল। কিন্তু প্রেমিকই যদি সন্তান হয়ে ওঠে। তাকেও তো গড়ে নেয় প্রেম। সে গড়ায় সুখ আছে, উন্মাদনা আছে, আছে তীব্র নীল ব্যথাকাতরতাও। এমনই মায়া ! কবি বলেন— বাঁকের অনতিদূরে আবছা সে ঈশ্বরশরীর / ঝুঁকে পড়ে তরঙ্গেরা— বাতাস ছুঁলেই দায়ভার / এমন মায়াবী আলো!— মাটি দিয়েও প্রেমিক বোনে। বুনতে বুনতে কবি পৌঁছে যান তার অন্তরের নিজস্ব অনুভবে। সেখানে মূর্তি আর তত মূর্তিমান নয়, সেখানে অবয়ব বড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না আলোর সম্মুখে। স্থূল মূর্তি থেকে কবি পৌঁছে যান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মে, বলেন- ‘মেয়ের নাকি তন্ত্রযোগ জানা!’ প্রেমিকের কাঠামো লাগে না আর, আলোয় ভরে ওঠে প্রেম। দীক্ষিত হতে হতে চলেন। আর এই দীক্ষাই তাকে ভরিয়ে তোলে, অপূর্ব মাতৃত্বের স্বাদে, প্রেমিকের স্বাদে। ধারণে সক্ষম তিনি। তাই তিনি রজস্বলা। যতদূর দৃষ্টি যায় ‘দিশো ন জানাতি রজস্বলাক্ষঃ’ (শ্রীমদ্ভাগবত)... বন্ধ্যা নয় এ মাটি, ফসলের সম্ভাবনায় ভরে আছে অনন্ত জীবন। অক্ষরবীজ ছড়াতে ছড়াতে কবি চলেন নিজের পথে পথে। লাল, সবুজ ও কালোর রঙিন রূপকথা। পাতায় পাতায় সুদীপ্ত দত্তের অলংকরণ। প্রতি পাতায় চমক।