Fenshirsha Sagarer Duburi
লেখক : ব্রাত্য বসু
পৃষ্ঠা : 384
পিটার শ্যাফারের 'ফাইভ ফিংগার এক্সারসাইজ'। যে নাটক সম্পর্কে স্বয়ং লেখক বলেছিলেন- এটা আধা-আত্মজৈবনিক নাটক। যদিও প্রথম লেখা নাটক বলেই সম্ভবত একটা সংশয় কাজ করছিল তাঁর। এ নাটক কতটা সুগঠিত হবে এবং কতখানিই বা নগ্ন আত্মজৈবনিক। দ্বিতীয় নাটক জন ওয়েক্সলের 'দে শ্যাল নট ডাই', যাতে মার্কিন বিচারব্যবস্থা, শ্বেতাঙ্গ-অধ্যুষণ এবং যাবতীয় অন্তঃসারশূন্যতার বিরুদ্ধে নাটককারের গনগনে রাগ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এবং ওয়েক্সলের নাম অনুচ্চারিত থাকলেও তাঁরই নাটক থেকে ঋণী উৎপল দত্তের 'মানুষের অধিকারে'। তৃতীয় নাটক জার্মান নাটককার মারিয়ুস ভন মায়েনবুর্গের 'ফায়ারফেস', যার মাধ্যমে তিনি নাগরিক সমাজের ঔদাসীন্য ও অসারতাকে এক প্রবল ধাক্কা দিতে চেয়েছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম নাটক বিখ্যাত জার্মান নাটককার বারটোল্ট ব্রেশ্টের 'দ্য ট্রায়াল অফ লুকুল্লুস' এবং 'দ্য কনডেমনশন অফ লুকুল্লুস', যা রোমান ইতিহাসের গবেষণা থেকে লেখা নিজেরই একটি ছোটোগল্প অবলম্বনে রচিত। ষষ্ঠ নাটক সাওভোমির মরোজেকের 'ট্যাঙ্গো' ও সপ্তম নাটক নাইজেরিয়ার নোবেলজয়ী নাটককার উলে সোয়েংকার 'দ্য সোয়াম্প ডুয়েলার্স'। এই সাতটি নাটক, সাত সাগর পাড়ি দিয়ে সংগ্রহ করে আনা সাতটি মুক্তা। ব্রাত্য বসু্ এই সাতটি নাটককে অত্যন্ত যত্নসহকারে অনুবাদ করে তার নান্দনিক উপস্থাপন করেছেন, যা হয়ে উঠেছে অনন্যসাধারণ। বাংলা ভাষায় অন্তত প্রথম অনুবাদ বা স্থানীয়করণের সংকলন এই বই।