Jibanananda Das : Kabi O Kabita
লেখক : দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 320
কোনো কবিতা থেকে তাঁর কবিকে আলাদা করা যায় না। যতই সে সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা চলুক, কবির সত্তাই কবিতার শরীর। কিংবা উল্টোটা। লেখক দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যার জীবনানন্দ চর্চার গভীরে ঢুকে খুঁজতে চেয়েছেন কবির জীবনকে। কবি ও কবিতাকে অন্বেষণের এই অদম্য প্রচেষ্টায় লেখক লিখেছেন, ‘কলকাতা-বরিশালের বিষম দুই ভূগোল-পরিস্থিতিতে ক্রমান্বয়ে বাস করেও জীবনানন্দের জীবনে ঘটনা সামান্যই। বাইরের স্রোত বা ঢেউয়ের অভিঘাত নিশ্চয় পর্ব-পর্বান্তর ঘটিয়ে দেয় কবিজীবনে, লেখায় বয়ান খুলে খুঁজে দেখতে হয় তার আঁচ বা উত্তাপ। জীবনানন্দের ক্ষেত্রে অবিনষ্ট অজস্র অনুশীলনের খাতাগুলি একটা বড়ো সহায়ক আলেখ্য লেখবার, অন্দর বা অন্তরজীবী মানুষটির সজাগ গ্রহীষ্ণুতা দেখতে পাওয়া যায় ক্ষান্তিহীন গদ্য-পদ্য ডায়রির নানা ছত্রে-অংশে।’ সেই সমস্ত লেখা পড়ে জীবনানন্দকে নতুন করে ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে কবিকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। ‘কবিতা লিখতেন ছাত্রব্যবহার্য পাতলা এক্সেরসাইজ খাতায়, শক্ত পেন্সিলে; তাঁর অভ্যেস ছিল দুপুরবেলায় লেখা, এবং রচনাটি মনঃপুতভাবে শেষ হলে পরে রাত্রে অন্য খাতায় কালিতে তার প্রতিলিপি তোলা’,- কবি জীবনানন্দ দাশের ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গে এ রকম গুটিকয়েক কথা জানতে পারা গেলেও লেখক দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কোন আঙ্গিকে ধরা দিলেন তিনি? ‘ঝরা পালক’, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘বনলতা সেন’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘সাতটি তারার তিমির’, ‘রূপসী বাংলা’ হয়ে সেই সব কাব্যগ্রন্থের মাঝেই দেবীপ্রসাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ধরা দিলেন জীবনানন্দ দাশ।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 2 (h)