Padyamala
লেখক : দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
পৃষ্ঠা : 80
জীবন থেকে সরস হাসি প্রায় চলে গেছে। যে হাসি শুধু দাঁত দেখিয়ে মুখ ব্যাদান করে হয় না। একটুখানি বুঝে নিয়ে হাসতে হয় সে হাসির তো আরোই অভাব। চট্জলদি যুগে অত সময় কোথায়? সে হাসির উৎস খুঁজতে গিয়ে বাংলাভাষায় একজনকে পাওয়া গেল। পরিণত বয়সেও যাঁর নিজেকে মনে হত ‘আসল কথা কি জান, আমি এখনও কাঁচা। এই মানুষটির যেটুকু পরিচিতি তা রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা আর আলাভোলা টাইপের অগোছালো দার্শনিক এবং হো হো হাসির দিলখোলা এক অভিজাত মানুষ। এই চিরকালের কাঁচা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের খামখেয়ালীপনায় মাথা খাটানো হাসি থেকে তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মজা রঙ্গ ব্যঙ্গ কতই না মনভালো করা হাসির আয়োজন। একটু ধৈর্য একটুখানি মনোযোগ ভাব করে নেওয়ার জন্য সামান্য কিছু সময় তারপর ঢুকে পড়া এক সম্ভব অসম্ভবের রাজ্যে। বিষয় বৈচিত্র্যে শব্দ ব্যবহারে বলবার ভঙ্গিতে একেবারে অন্য মানুষ দ্বিজেন্দ্রনাথ। একজন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়া, তাকে জানা মানে। যেন একটা বই পড়ে ফেলা। কথাটা একটু ঘুরিয়ে ভাবলে এক- একটা বই আছে যা পড়া মানে একজন মানুষকে অনেকখানি ধরতে পারা। কবি সুব্রত রুদ্র গবেষণাধর্মী সম্পাদনাকর্মে এক স্বতন্ত্র রুচির পরিচয় রেখেছেন। তাঁর সম্পাদিত এই সংগ্রহে পাওয়া যাবে প্রায় বছর তিরাশি-চুরাশি আগে লেখা, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক দুষ্প্রাপ্য লঘু পদ্য। 'ভারি বিষয় হালকাচালে বলা, কখনো শুধু পরিহাসের লেখা, কবিতায় বাড়ির ঘরোয়া ঘটনা নির্মল স্নিগ্ধ কৌতুকমেশানো এ-বইয়ের প্রায় সবই অগ্রন্থিত রচনা। ...পদ্যপাগল দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আরো একটা নতুন বই হয়ে গেল খেয়ালখেলার।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.1 (h)