Bhutumbhagaban
লেখক : জয় গোস্বামী
পৃষ্ঠা : 63
‘আত্মজীবনীর অংশ' নামে একটি দীর্ঘ কবিতার একদম। অন্তিম লাইনে জয় গোস্বামী লিখেছিলেন—শুধু মাথার ভিতর লুকিয়ে নিয়ে ঘুরবো/ বজ্র-বিদ্যুৎ ভর্তি খাতা। যদিও একথা বলেছিলেন ১৯৯৪ সালে, কিন্তু তার বহু আগেই 'ভুতুমভগবান' নামে এই কাব্যগ্রন্থটি কবি লিখে ফেলেছিলেন মাথায় মাথায়। ভুতুমভগবান ও উন্মাদের পাঠক্রম—এই দুই বই যে তাঁর মাথায়। মাথায় রচিত একথা আমরা জানতে পারি তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে। না, কাগজে কলমে নয়, কবিতার পর কবিতা রচিত হয়েছে শুধুমাত্র মানস লিখন পদ্ধতিতে। প্রবাদে পরিণত হয়ে গিয়েছে সে সব লাইন। রাস্তায় রাস্তায় আমি ভগবান দেখে বেড়াচ্ছি ভুতুম।' সত্যিই তাই! কবির সেই সময়ের দিনযাপন, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরে তার মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়ানো মাথাভর্তি কবিতা নিয়ে—সেই সব কবিতার মুহূর্তই ফুটে উঠেছে এই বইয়ের পাতায়। পাঠকের মুখে মুখে ফেরা নুন, চুম্বন, বাঁকা, কথামৃত, ভৌ, ব্যাধ সহ আরও অজস্র ষড়ৈশ্বর্যময়ী রচনার পাশেই রয়েছে 'ভুতুমভগবান’ নামাঙ্কিত এক দীর্ঘ কবিতা, যার পরিচয় নতুন করে বাংলা কবিতার পাঠককে দেওয়ার নেই। এ-কবিতায় গ্রীক নাটক, অপেরা এবং শাস্ত্রীয় সংগীত মিলেমিশে গেছে। অনাগত দিনের পাঠকের হাতে প্রতিভাসের পক্ষ থেকে এ-এক বিনম্র নিবেদন। '৮৭ সালে প্রতিভাস থেকেই প্রকাশিত এ-বইয়ের এই নতুনতর চেহারা এক রাজ সংস্করণ। সঙ্গে সুব্রত চৌধুরীর ব্যতিক্রমী চিত্র-লেখা, যেখানে সাদায় কালোয় ফুটে উঠেছে এক অবর্ণনীয় মনোজগতের ছবি। আবার নতুনভাবে নতুন দিনের পড়ুয়াদের কাছে। নিয়ে আসা হল জয় গোস্বামীর যা খুশি তাই কবিতার এক নিজস্ব দলিল, যার দীপ্তি বাংলা সাহিত্যকে আজীবন উজ্জ্বল করে রাখবে।
আকার (cm) : 16 (l) X 20.5 (b) X 1.1 (h)