Karpet Bunechilam, Mural Baniachi
লেখক : চন্দনা খান
পৃষ্ঠা : 80
কিছু কিছু কবি থাকেন, কবিতা যাদের কাছে নিছক শৌখিন চর্চার বিষয় নয়, বরং নিজের কথা বলার একটা জোরালো মাধ্যম। চন্দনা খান সেই গোত্রের কবি যিনি তাঁর কবিতাকে দিয়ে কথা বলাতে চান। নিজের কথা, তাঁর দেখা জগতের কথা, সর্বোপরি মানুষের কথা। তাই তাঁর কলম দিয়ে অনিবার্যভাবে বেরিয়ে আসে ‘রাস্তার ফুটপাতে বসে আছে অনেক মানুষ নাকি মানুষের শব...' কখনও তির্যকতা, কখনও শ্লেষ, কখনও বা বেদনায় বিধুর হয়ে তিনি লিখতে পারেন ‘ভালোবাসা আজকাল মাটিতে হিসেবি চোখ রেখে পথ হাঁটে। হ্যাঁ, এভাবে তিনি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন এবং উপলব্ধি করেন ‘ভালোবাসা সবকিছু গিলে স্থবির জটায়ু সেজে পাশে বসে থাকে| নামহীন দন্তহীন / তার গায়ে আলতো হাত রাখি’– জীবনকে তিনি বহুকৌণিক দৃষ্টি দিয়ে দেখতে চান। তাঁর কবিতায় তাই ভিড় করে আসে একই সঙ্গে সংসারে ধোঁয়া-উনুনের নীলাম্বরী ছুকছুকে মেয়ে’ ও ‘একা হেঁটে চলেছে যে নটিনী, রঙ্গিনী...' তার কথা— এদের সবার কথা বলার জন্য তিনি বলে ওঠেন ভয় নেই, আমি আছি, নারীশক্তি/ আমি জেগে আছি, তোমাদের মধ্যে জেগে উঠবো...' এসব কথা বলার জন্য কোনো নারীবাদী চশমার দরকার অবশ্য তার হয় না। ভনিতাহীন স্পষ্ট তাঁর এই উচ্চারণে কেউ কেউ হয়তো সারল্য খুঁজে পাবেন, তবু তাঁর কবিতা পড়লে বোঝা যায় কোনো আপাত জটিলতার শো-কেসে কবিতাকে তিনি সাজিয়ে রাখতে চান না। এই জন্যই মনে হয় তিনি আলাদা, যিনি অনায়াসে বলতে পারেন চলে যাবো গেরুয়া সন্ন্যাসে নয় / এই সব কামনা-বাসনার ডানায় হেঁটে / কখন পেরিয়ে যাব পথ... ‘এই পথ পেরোনোর আকাঙ্ক্ষাই যেন ছড়িয়ে আছে তাঁর এই বই-এর কবিতাগুলিতে।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1 (h)